মরণোত্তর দেহদান করেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শব্দসৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও দৈনিক ভোরের আকাশের সম্পাদক মনোরঞ্জন ঘোষাল।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসির কক্ষে দেহদানের অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেন তিনি।
মনোরঞ্জন ঘোষাল স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে ও সুস্থ মস্তিষ্কে এবং অন্যের বিনা প্ররোচনায় স্বাক্ষরিত মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকারপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের কাছে হস্তান্তর করেন। এরপর ভিসি অঙ্গীকারপত্রটি এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানুর কাছে হস্তান্তর করেন।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের নিত্যনতুন এবং উচ্চতর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণায় মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মৃত্যুর পর মনোরঞ্জন ঘোষালের দেহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি বিভাগে সংরক্ষণ এবং শিক্ষণ-প্রশিক্ষণ ও গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হবে।
মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করায় ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বিশিষ্ট সাংবাদিক মনোরঞ্জন ঘোষালকে ধন্যবাদ জানান এবং সবাইকে মরণোত্তর দেহদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারুক হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক (সার্জিক্যাল অনকোলজি) ডা. মো. রাসেল, কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলার সভাপতি ইয়াছিন মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, মনোরঞ্জন ঘোষাল কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলারও উপদেষ্টা।
সাংবাদিক মনোরঞ্জন ঘোষালের মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকারসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪ বিশিষ্টজনের মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকারনামা রয়েছে। এছাড়া এনাটমি বিভাগে দেশের ২৩ বিশিষ্ট নাগরিকের মরণোত্তর দেহ সংরক্ষিত আছে।
ভোরের আকাশ/আসা