logo
আপডেট : ১৩ এপ্রিল, ২০২৩ ১৫:১৪
দ্বিগুণ লাভের আশায় পটল চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা
রিফাতুন্নবী রিফাত, গাইবান্ধা

দ্বিগুণ লাভের আশায় পটল চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা

পটলের মাচা তৈরি ও পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষি

গাইবান্ধায় দিন দিন পটল চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। পটলে দ্বিগুণ লাভের আশা করছেন চাষিরা। পটল একটি উচ্চ ফলনশীল ও লাভজনক ফসল হওয়ায় জেলায় কয়েক একর জমিতে পটলের চাষ করা হচ্ছে। শীত মৌসুম ব্যতীত সারা বছরই পটল চাষ করা যায়। লাভজনক ফসল হওয়ায় পটল চাষে অনেক আগ্রহ দেখা যায় চাষিদের।

 

গাইবান্ধা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, শাক-সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৫ হাজার ৭৯৫ হেক্টর। যা অর্জিত হয়েছে ১ হাজার ৬০০ হেক্টরে। এর মধ্যে পটল চাষ রয়েছে। পটল চাষ লাভজনক। তাই এবার এ জেলায় পটল চাষে অনেক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়াও মাঠপর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা পটল চাষিদের বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই পোকামাকড় নিধন সম্পর্কে নিয়মিত পরামর্শ দেয়া অব্যাহত রেখেছেন।

 

বৃহস্পতিবার জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কয়েক একর জমিতে পটলের চাষ করছেন চাষিরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পটল পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। কেউ পটলের মাচা তৈরি করছেন, কেউ নিড়ানিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন আবার কেউ পটলের কৃত্রিম পরাগায়ণ করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

 

পটল চাষ করে জেলার বিভিন্ন এলাকার চাষিরা স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। পটল চাষে লোকসানের সম্ভাবনা অনেক কম, তাই কৃষকেরা পটল চাষে বেশি আগ্রহী। পটল যখন বাজারজাত হয় তখন শীতের সবজি থাকে না, তাই পটল থাকে ক্রেতা চাহিদার শীর্ষে, তাই দামও পাওয়া যায় ভালো।

 

সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের চাঁদকরিম এলাকার কৃষক বাদল মিয়া বলেন, চলতি মৌসুমে আমি প্রায় ৭০ শতক জমিতে পটলের চাষ করেছি। এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। পটল উঠানো পর্যন্ত আরো খরচ হবে প্রায় ২০-২৫ হাজার টাকা। মোট খরচ হবে প্রায় ৫৫-৬০ হাজার টাকা। পটলের বাম্পার ফলন হলে পটলের আশা করছেন প্রায় ৯০ থেকে ৯৫ মণ। যা থেকে আয়ের আশা করছেন প্রায় ১ লাখ ৫০-৬০ হাজার টাকা। তিনি আরো বলেন, অন্য ফসলের চেয়ে পটল চাষে লাভ বেশি। আর এই কারণেই আমরা পটল চাষের দিকে ঝুঁকছি।

 

এ জেলার কয়েকটি উপজেলা ঘুরে দেখা যায় পটল চাষিদের মধ্যে হাফিজ মিয়া, রফিকুল, জাহিদুল, দেলোয়ার, আকাশ, সাহারুল ও নওশা মিয়াসহ আরো অনেকে বলেন, আমরা অনেক বছর ধরে পটলের চাষ করে আসছি। পটল চাষ একটি লাভজনক ফসল। পটল চাষে দ্বিগুণ লাভ করা যায়।

 

তারা আরো বলেন, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় ও জমি চাষের উপযোগী হওয়ায় পটল চাষে ব্যাপক সাফল্য দেখছেন। বাজারে পটলের দাম ও চাহিদা ভালো থাকায় এই সবজির চাষ করেন তারা। সঠিক নিয়ম মেনে ও পরিচর্যা করায় পটলের ফলনও অনেক ভালো হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে পটল চাষে লাভবান হবেন বলে আশা করছেন তারা।

 

এ বিষয়ে গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক খোরশেদ আলম ভোরের আকাশকে জানান, কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় এ জেলায় দিন দিন পটলের চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অল্প খরচে দ্বিগুণ লাভ হওয়ায় পটল চাষে ঝুঁকেছেন অনেকেই। আমরা পটল চাষের ব্যাপারে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

 

ভোরের আকাশ/নি