বোমা আতঙ্কে বক্তব্য দেয়া থেকে পিছু হটলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। ওয়াকায়ামা শহরের জনসমাবেশে শনিবার বক্তব্য দেয়ার কথা ছিল কিশিদার। কিন্তু তার আগেই একটি ‘ধোঁয়া বোমা’ ছোড়া হয় প্রধানমন্ত্রীর দিকে।
অবস্থা বেগতিক দেখে প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপদে সরিয়ে নেয় নিরাপত্তা বাহিনী। স্থানীয় খবরে বলা হয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তারা এক ব্যক্তিকে কিছু নিক্ষেপ করতে দেখেছেন। তারপর ধোঁয়া বের থাকে। অন্য একজন জানান, তারা একটি বড় বিস্ফোরণ শুনতে পেয়েছেন। তবে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাননি তারা।
ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশ এক ব্যক্তিকে চেপে ধরেছে। বলা হচ্ছে, তিনিই সেই সন্দেহভাজন। পুলিশ বলছে, তারা একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তির সম্পর্কে আর কিছু জানায়নি পুলিশ।
জাপানের পাবলিক ব্রডকাস্টার এনএইচকে কিশিদাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘অনুষ্ঠানস্থলে একটি প্রচন্ড বিস্ফোরণ হয়েছিল। পুলিশ বিস্তারিত তদন্ত করছে। মানুষকে উদ্বিগ্ন করার জন্য ক্ষমা চাই।’ ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজন নারী এনএইচকে বলেন, ‘আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমার হৃদপিন্ড এখনো দ্রুত স্পন্দিত হচ্ছে।’
অন্য একজন বলেন, ‘আমরা সত্যিই একটি বিকট শব্দ শুনতে পেলাম। প্রচন্ড শব্দে আমার মেয়ে কেঁদে উঠেছিল।’ অন্য একজন প্রত্যক্ষদর্শী এনএইচকেকে বলেন, ‘বিস্ফোরণ শোনার আগেই জনতা আতঙ্কে এদিক-ওদিক ছুটতে শুরু করে।
কারণ অনেকে বলছিল, বোমা হামলা হয়েছে।’ কিশিদার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য হিরোশি মোরিয়ামা বলেন, ‘গণতন্ত্রের ভিত্তি গঠনকারী নির্বাচনী প্রচারের মাঝখানে যা ঘটেছে, তা দুঃখজনক।
এটি একটি ক্ষমার অযোগ্য নৃশংসতা।’ জাপানে সহিংস হামলা অত্যন্ত বিরল।
তবে গত বছর প্রচারের সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে গুলি করে হত্যা করার পর রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। তথ্যসূত্র : বিবিসি
ভোরের আকাশ/নি