তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে যশোরের মানুষের জনজীবন। অস্বাভাবিক এই গরমে ডায়রিয়া ও হিট স্ট্রোকসহ পেটের নানা ধরনের পীড়া দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
শনিবার দুপুর ১টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর ৩টা নাগাদ এ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। তীব্র এ গরমে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।
যশোর বিমানবন্দর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটি আবহাওয়া দপ্তরের তথ্যমতে, গত কয়েকদিন ধরেই যশোরে তাপমাত্রার পারদ ৩৯ থেকে ৪০ ডিগ্রিতে বিরাজ করছে। দুপুর ১টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৩৪ শতাংশ। দুপুর ৩টা নাগাদ এ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়াবে।
তীব্র এ গরমে কাজের সন্ধানে ঘরের বাইরে আসা শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। অনেককে গাছতলায় অবস্থান নিয়ে বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে।
শহরের কালেক্টরেট চত্বরে গাছের ছায়ায় রিকশার হুড তুলে বিশ্রাম নেয়া চালক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘রোদ তো না, যেন আগুনের হল্কা বের হচ্ছে। বাইরে দুই-চার মিনিট থাকা যাচ্ছে না। খুব তেষ্টা পাচ্ছে। শরীর জ্বলে-পুড়ে যাচ্ছে।’
পুরাতন কসবা এলাকার মুদি দোকানি স্বপন ইসলাম বলেন, ‘সকালের দিকে খরিদ্দার একটু আসে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকজনের উপস্থিতি কমতে থাকে। তাপমাত্রা এত বেশি যে, দোকানে দুটি ফ্যান চালিয়েও শরীর জুড়ানো যাচ্ছে না।’
যশোরের মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তন্ময় বিশ্বাস বলেন, ‘এই গরমে সব বয়সি মানুষের ডায়রিয়াসহ পেটের নানা ধরনের পীড়া দেখা দিতে পারে। বয়স্ক যারা তাদের হিটস্ট্রোক হতে পারে। এ সময় যতদূর সম্ভব রোদে না বের হওয়া ভালো। শ্রমজীবী মানুষকে তো আটকে রাখা যাবে না। তাদের জন্যে পরামর্শ, সকাল সাড়ে দশটা ও বিকেলের দিকে যেন তারা কাজ করেন।’
বেশি বেশি পানি ও তরল জাতীয় খাবার বিশেষ করে ডাব, ইফতারে ভাজাপোড়া খাবার পরিহারের পরামর্শ দেন তিনি।
ভোরের আকাশ/নি