logo
আপডেট : ১৭ এপ্রিল, ২০২৩ ১৪:১০
রমজানেও ভালুকায় লোডশেডিং, চরম দুর্ভোগে গ্রাহকরা
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

রমজানেও ভালুকায় লোডশেডিং, চরম দুর্ভোগে গ্রাহকরা

ময়মনসিংহের ভালুকায় পিডিবি ও পল্লিবিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কারণে ভ্যাপসা গরমে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীসহ সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।

 

বিশেষ করে এই রমজানে ইফতার ও সাহরির সময় বিদ্যুৎ না থাকায় রোজাদারগণ বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম পাওয়ার কারণে প্রতিদিনই লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে বলে স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগ জানান।

 

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অভিযোগে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে ভালুকা পৌর এলাকাসহ সর্বত্রই অব্যাহতভাবে লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। তা ছাড়া বিদ্যুৎ থাকলেও এমন লো-ভোল্ডেজ দেয়া হচ্ছে যে, ফ্রিজ, ফ্যান এমনকি পানি তোলার ছোট মোটর পর্যন্ত ঘুরছে না। ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন।

 

বিশেষ করে সন্ধ্যার পর বিদ্যুতের লোডশেডিং ও লো-ভোল্ডেজ দেয়া হচ্ছে বেশি। দিনে এমনকি রাতে বেশ কয়েকবার লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে সন্ধ্যায় ইফতারের সময় ও সাহরির সময়েও বিদ্যুৎ লোডশেডিং দেয়া হয়ে থাকে। গ্রাম এলাকার গ্রাহকরা জানান, গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকায় রয়েছে পল্লিবিদ্যুৎ।

 

বিভিন্ন অজুহাতে গ্রামাঞ্চলে বেশিরভাগ সময়ই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। আর তার সঙ্গে সঙ্গে যতক্ষণ বিদ্যুৎ থাকে তার বেশিরভাগ সময়ই লো-ভোল্ডেজের কারণে বাসাবাড়ির পানি উঠানোর মোটর, ফ্রিজ এমনকি পাওয়ার লাইট পর্যন্ত জ্বলছে না।

 

একাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহক জানান, বর্তমানে ভালুকায় বিদ্যুতের চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে এই রমজানে ইফতার ও সাহরির সময় বিদ্যুৎ না থাকায় রোজাদারগণ বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সূত্রে জানা যায়, ভালুকা পৌর এলাকায় সারা বছরই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার কথা থাকলেও রহস্যজনক কারণে পৌর এলাকাতেও ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং ও লো ভোল্ডেজের কবলে পরে থাকতে হচ্ছে গ্রাহকদের। ফলে চরম ভোগান্তিতে আছেন পৌরবাসী।

 

পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী এজেডএম আনোয়ারুজ্জামান দৈনিক ভোরের আকাশকে জানান, ভালুকায় গ্রাহক সংখ্যা রয়েছে প্রায় ৩১ হাজার। আর বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১৮ মেগাওয়াট। তবে প্রতিদিন চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ না থাকায় লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। গ্যাসের প্রেসার কম থাকার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ঠিকঠাক মতো না হওয়ায়ও লোডশেডিংয়ের কারণ বলে ওই কর্মকর্তা জানান।

 

ময়মনসিংহ পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ দৈনিক ভোরের আকাশকে জানান, বিদ্যুৎ সমস্যাটি ময়মনসিংহ জোনেই। ভালুকা, শ্রীপুর, গফরগাঁও ও ত্রিশাল এই চার উপজেলায় তাদের মোট গ্রাহক রয়েছেন সাড়ে চার লাখ। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পাওয়ায় লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।

 

ভালুকায় চাহিদা রয়েছে ১১৩ মেগাওয়াট কিন্তু বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে ৬৫ মেগাওয়াট।

 

ভোরের আকাশ/নি