logo
আপডেট : ১৭ এপ্রিল, ২০২৩ ১৫:০৫
চুরি হচ্ছে শ্রমিক কলোনির জানালা-দরজা-গ্রিল
খুলনা ব্যুরো

চুরি হচ্ছে শ্রমিক কলোনির জানালা-দরজা-গ্রিল

খালিশপুরের প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিল শ্রমিক কলোনি

মিল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও দায়িত্ব অবহেলায় চুরি হয়ে যাচ্ছে বন্ধ থাকা খুলনার খালিশপুরের প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিল শ্রমিক কলোনির জানালা-দরজা-গ্রিল, ইলেকট্রনিক সরঞ্জামাদিসহ অন্যান্য মালামাল। বর্তমানে শ্রমিক আবাসিক এলাকার একটি ভবনে নেই জানালা-দরজা। এত বড় একটি শ্রমিক আবাসিক ভবনের মালামাল লুটপাট হলেও দেখার কেউ নেই।

 

১৯৫৪ সালে এই পাটকলটি যাত্রা শুরু হলেও ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু পাটকলটিকে জাতীয়করণ করে। তবে ধারাবাহিকভাবে লোকশানে ২০২০ সালে জুলাই মাসে মিলটির সব ধরনের উৎপাদন বন্ধসহ পাটকল বন্ধের ঘোষণা দেয় বিজেএমসি। এরপর পরিত্যক্ত হয়ে যায় শ্রমিক আবাসিক এলাকা।

 

প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিল এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, শ্রমিক আবাসিক এলাকা এখন ফাঁকা, কেউ বসবাস করে না। আর এই সুযোগে নিরাপত্তা কর্মীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে মালামাল চুরি হচ্ছে। দিন আর রাত নেই সব সময়ে মালামাল চুরিতে ব্যস্ত স্থানীয় কিছু মহল। এখন শুধু স্মৃতি হয়ে আছে মিল আবাসিক এলাকা। ভবনটি এখনো মজবুত আছে।

 

তবে মিলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সবকিছু দেখেও নীরব ভূমিকা পালন করছে। তাদের সহযোগিতা ছাড়া এভাবে সবার সামনে চুরি হতে পারে না। এমনকি চুরি করে মালামাল নিয়ে যাচ্ছে এমন সংবাদ দিলেও নিরাপত্তা কর্মী কোনো ব্যবস্থা নিতে আসে না। এভাবে সরকারি সম্পত্তি চুরি হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয় না মিল কর্র্তৃপক্ষ। এখন একটি ভবনেরও দরজা জানালা নেই। তবে চলমান আছে চুরির কার্যক্রম।

 

শ্রমিক আবাসিক এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রমিক আবাসিক মূল ফটকে নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন এনামুল নামে একজন আনসার সদস্য। তিনি বলেন, আমি একা এখানে দায়িত্বে আছি, মোট ১৪ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করি বিভিন্ন জায়গায় পর্যায়ক্রমে। ভবনের এসব মালামাল কোথায় গেল এমন প্রশ্নে তিনি জানালেন, আমার চোখের সামনে থেকে চুরি হয়নি। রাতের বেলায় হয়তো চুরি হতে পারে।

 

এ প্রতিবেদককে খালিশপুর প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিলসের প্রকল্প পরিচালক মো. মুরাদ হোসেন বলেন, শ্রমিক আবাসিক এলাকায় ভবন থেকে মালামাল চুরি হচ্ছে এমন সত্যতা পেয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট খালিশপুর থানায় প্রায় চার থেকে পাঁচটি চুরির মামলা দিয়েছি। এর মধ্যে শ্রমিকরা কিছু মালামাল যাওয়ার সময়ে নিয়ে চলে গেছে। পাশাপাশি আমরা আরো কিছু মালামাল নিয়ে মিলে রেখেছিলাম। দরপত্রে আহব্বানে স্ক্রাপের মালামালের সাথে বিক্রি করেছি।

 

খুলনা বিজেএমসি আঞ্চলিক প্রধান গোলাম রাব্বানি সাথে কথা হলে এ প্রতিবেদককে তিনি জানান, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। এভাবে সরকারি মালামাল চুরি হয়েছে আমাকে অবগত করা হয়নি। আমি বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নিব।

 

খুলনা শ্রম অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, প্লাটিনাম শ্রমিক আবাসিক ভবনের মালামাল চুরি হয়েছে, বিষয়টি আমার জানা নেই। সেখানে দায়িত্বরত প্রকল্প প্রধান বিষয়টি আমাকে অবগত করেনি।

 

ভোরের আকাশ/নি