logo
আপডেট : ১৭ এপ্রিল, ২০২৩ ১৭:৩২
সাবেক ডিআইজি মিজানকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক ডিআইজি মিজানকে জামিন দেননি হাইকোর্ট

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে করা দুদকের মামলা পুলিশের বরখাস্ত হওয়া উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. মিজানুর রহমানকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। তার জামিন আবেদন আদালতের কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।

 

বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার মিজানুর রহমানের জামিন আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। আদালতে মিজানের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

 

মিজান ২০১৯ সালের ১ জুলাই হাইকোর্টে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। হাইকোর্ট তাকে জামিন না দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নি¤œ আদালতে হাজির করতে ডিএমপিকে নির্দেশ দেন। এই নির্দেশে পরদিন তাকে নিম্ন আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সেই থেকে তিনি কারাবন্দি।

 

মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৪ জুন দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) মামলা করে। মামলায় মিজানুর রহমানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকেও আসামি করা হয়।

 

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য দুদকের কাছে গোপন করার অভিযোগ আনা হয়। এই মামলা তদন্ত শেষে দুদক অভিযোগপত্র দিয়েছে। এরপর বিশেষ জজ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার কাজ শুরু করা হয়েছে। নি¤œ আদালতে এই মামলা সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

 

একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে ২০১৯ সালের ৯ জুন প্রচারিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে পরিচালিত দুর্নীতির অনুসন্ধান থেকে দায়মুক্তি পেতে দুদক পরিচালক বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন ডিআইজি মিজান। ঘুষ লেনদেন সংক্রান্ত কথোপকথন রেকর্ড করে ওই চ্যানেলকে দিয়েছিলেন মিজান। ডিআইজি মিজানও এ বিষয়ে নিজেই গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন।

 

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে বাঁচতে ওই অর্থ ঘুষ দেন বলে ডিআইজি মিজান দাবি করেন। এ প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর দুদক সংস্থার সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতকে প্রধান করে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি ২০১৯ সালের ১০ জুন প্রতিবেদন জমা দেয়।

 

প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরিচালক বাছিরকে দুদকের তথ্য অবৈধভাবে পাচার, চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সর্বোপরি অসদাচরণের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে কমিশন। এরপর ৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদক মামলা করে। এই মামলায় নিম্ন আদালত এনামুল বাছিরকে ৮ বছর ও মিজানুর রহমানকে তিনবছরের কারাদন্ড দিয়ে গতবছর ২৩ ফেব্রুয়ারি রায় দেয়।

 

ভোরের আকাশ/নি