logo
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০২৩ ১৯:২২
নাড়ির টানে ঘরে ফিরছে মানুষ
নিজস্ব প্রতিবেদক

নাড়ির টানে ঘরে ফিরছে মানুষ

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দে শরিক হতে তীব্র গরম উপেক্ষা করেই নাড়ির টানে ঘরে ফিরছে মানুষ। মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে ঘরে ফেরা মানুষের চাপ বাড়ছে। তবে আগে থেকে প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নেয়ায় এবারের ঘরে ফেরা মানুষ কম ভোগান্তিতে পড়ছে। বলা চলে অনেক নির্বিঘ্নেই বাড়ির পানে ফিরছেন তারা। এ কারণে ফাঁকা হয়ে পড়ছে রাজধানী। তবে এবার ঈদযাত্রায় বড় ধরনের ভোগান্তি না হলে প্রচণ্ড গরমে ঘরে ফেরা অনেকটাই কষ্টের যাত্রায় রূপ নিয়েছে।

 

ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস ছিল মঙ্গলবার। অনেক অফিসে হাজিরা দিয়ে বাড়ির পথে বেরিয়ে পড়েন। অনেকেই আবার অগ্রিম ছুটি নিয়ে আগেই ঢাকা ছেড়েছেন। স্কুল-কলেজ আগেই ছুটি হওয়ার কারণে অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে ঢাকা ছেড়ে গেছেন। কাজের কারণে যারা থেকে গেছেন, শেষ কর্মদিবসে সবাই ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন।

 

গত ১৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিক ঈদযাত্রা শুরু হলেও মঙ্গলবার ঘরে ফেরা যাত্রী চাপ বেশি ছিল। রাজধানীর বিভিন্ন রুটে কিছুটা যানজট লক্ষ্য করা গেছে। তবে বড় ধরনের ভোগান্তি ছিল না কোথাও। দূরপাল্লার বাস-লঞ্চে যাত্রী পরিবহনের জন্য আগে থেকে অগ্রিম টিকিট প্রদান করলেও এসব পরিবহনে এখনো টিকিট মিলছে। সোহেল রানা নামে এক সরকারি কর্মকর্তা মঙ্গলাবার অফিস শেষে ঢাকা ছাড়েন। তিনি জানান, ছুটি না পাওয়ায় বাড়ি ফেরার অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করা হয়নি। কিন্তু মঙ্গলবার কাউন্টারে গিয়েই দূরপাল্লার টিকিট সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। তিনি জানান, রাস্তায় কোনো ধরনের যানজট না থাকায় সময়মতো বাড়িও ফিরতে পেরেছেন।

 

এদিকে শেষ কর্মদিবসে বাড়ি ফেরা মানুষের চাপের বাড়লেও রাজধানীতে যানজট লক্ষ্য করা যায়নি। তবে উত্তরের পথের বিভিন্ন মহাসড়কে যানবাহন চাপ কিছুটা বেড়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকাল থেকে সিরাজগঞ্জের মহাসড়ক ও টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। সিরাজগঞ্জের মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত মহাসড়কে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। দূরপাল্লার বাস ও ট্রাকের পাশাপাশি বাড়ছে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার। তবে মহাসড়ক যানজটমুক্ত ও নিরাপদ রাখতে জেলা পুলিশ, জেলা ট্রাফিক বিভাগ ও হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ভোর ৬টা থেকে প্রায় ৮০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জের ৪৫ কিলোমিটার মহাসড়কের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

 

এদিকে ঈদযাত্রা উপলক্ষে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ২২টি জেলার মহাসড়কের প্রায় ৫১ কিলোমিটারজুড়ে দুর্ঘটনা ও চাঁদাবাজি রোধসহ শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তৎপরতা বাড়িয়েছে হাইওয়ে ও জেলা পুলিশ। হাটিকুমরুল হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মহাসড়কে ১০টি মোটরসাইকেল মোবাইল টিম, ১৪টি পয়েন্টে ১৪টি পিকেট টিম, দুটি পিকআপ টিম ও একটি অ্যাম্বুলেন্স টিমসহ মোট ১৪১ পুলিশ সদস্য কাজ শুরু করেছেন। সচেতনতায় মাইকিং ও ডিজিটাল সাইনবোর্ড লাগানো হচ্ছে। পাশাপাশি ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ওয়াচ টাওয়ার থেকে সবকিছু মনিটরিং করা হচ্ছে।

 

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য শাখার উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, ঈদ সামনে রেখে ঘাট কর্তৃপক্ষ প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনগুলোকে নিরাপদে নৌরুট পারাপার করতে প্রস্তুত। মঙ্গলবার সকালের দিকে কিছু যাত্রী ও যানবাহন ছিল। তবে তা ঘণ্টাখানেকের মধ্যে পার করা হয়। এ মুহূর্তে পাটুরিয়া- দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট-বড় মিলে ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। এবারের ঈদযাত্রায় ফেরিঘাট এলাকায় ভোগান্তি ছাড়াই যানবাহন ও ঘরমুখো মানুষ নৌরুট পার হতে পারবে বলে আশা করছেন তিনি।

 

টিকিট সংগ্রহে ভোগান্তি পোহালেও স্বস্তিতে শুরু হয়েছে ঈদযাত্রা। সোমবার থেকে ট্রেন, বাস ও লঞ্চে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন যাত্রীরা। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২২ অথবা ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। গত ৭ এপ্রিল থেকে এসব পরিবহনে ঈদে ঘরে ফিরতে অগ্রিম টিকিট প্রদান করা হয়। গতকাল সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদযাত্রা শুরু হয়।

 

সোমবার রাজশাহীগামী ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেসের মাধ্যমে শুরু হয়েছে বাড়িফেরা মানুষের ঈদযাত্রা। প্রতিবার এই যাত্রায় ভোগান্তি ও অভিযোগের চিত্র লক্ষ্য করা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। স্বাচ্ছন্দ্যেই বাড়ি ফিরছেন ট্রেনযাত্রীরা। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, সারিবদ্ধভাবে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করছেন টিকিটধারীরা। যাদের টিকিট নেই, তাদের প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। এবারের ঈদযাত্রায় ট্রেন পর্যন্ত পৌঁছাতে যাত্রীদের পেরোতে হয়েছে কয়েক স্তরের তল্লাশি। এতে অধিকাংশ যাত্রী সন্তুষ্ট থাকলেও আবার অনেকেই জড়াচ্ছেন বাগ্্বিতণ্ডায়, শাসাচ্ছেন ট্রাভেলিং টিকিট এক্সামিনারদের (টিটিই)। ঈদযাত্রায় এবার টিকিট ছাড়া ট্রেনে ভ্রমণের কোনো সুযোগ নেই। এমনকি ট্রেনের ছাদে চড়েও এবার ভ্রমণে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। কমলাপুর স্টেশন থেকে জয়দেবপুর স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনের ছাদে যাত্রা প্রতিহত করতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তৎপর রয়েছে বলে জানান কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারওয়ার। তিনি বলেন, এবার ছাদে কোনো যাত্রী নেয়া হবে না। এ বিষয়ে কমলাপুর থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত আমরা নজর রাখছি। কেউই বিনা টিকিটে বা ছাদে যাতায়াত করতে পারবে না। যাত্রীরা যদি এ বিষয়ে সচেতন হন, আশা করছি এ বিষয়ে আমরা সফল হবো।

 

সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, স্টেশনের শুরুতে রয়েছে বাঁশের তৈরি জিগজ্যাক পাঁচটি গেট। এতে পাঁচজন টিটিই যাত্রীদের টিকিট ও এনআইডি চেক করছেন। তাদের কাজে সহায়তা করছেন রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সদস্যরা। দ্বিতীয় চেকিং হচ্ছে টিকিট কাউন্টারের সামনের অংশে, সেখানে রয়েছে তিনটি গেট। সবশেষে মেইন গেটে প্রবেশপথে সন্দেহভাজনদের তৃতীয় চেকিং করা হচ্ছে। পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস) মেশিন ব্যবহার করে টিকিট চেকিং ও এনআইডি মিলিয়ে দেখার কাজটি অতি দ্রুত করছেন টিটিইরা। তাদের এই কাজে সর্বোচ্চ ১০-২০ সেকেন্ড সময় লাগছে। এমনই কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে যাত্রীদের প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে প্ল্যাটফর্মে। কর্তব্যরত এক টিটিই বলেন, প্রায় ৯৫ শতাংশ যাত্রীর টিকিটের সঙ্গে এনআইডির মিল আছে। ৫ শতাংশ যাদের মিল নেই, তাদের আমরা ফেরত পাঠাচ্ছি। আমাদেরকে এভাবেই নির্দেশনা দেয়া আছে।

 

ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সফিকুর রহমান বলেন, স্টেশনে প্রবেশের জন্য একজন যাত্রীকে কয়েক স্তরের চেকিং সম্পন্ন করতে হচ্ছে। যারা সত্যিকারের টিকিটের যাত্রী তাদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। যারা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে টিকিট সংগ্রহ করেছেন, তারা হয়তো অসুবিধায় পড়েছেন।

 

ঈদ উপলক্ষে নির্ধারিত সময়ের আগেই শুরু হয়েছে অগ্রিম টিকিট বিক্রিও। ২০ এপ্রিল পর্যন্ত গড়ে প্রায় ৪০ শতাংশ কেবিন বুকিং হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ১৭ এপ্রিল থেকে লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রির কথা থাকলেও রোজার শুরু থেকেই অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। অনেকে এসে অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করছেন। আবার কেউ ফোন করে কেবিন বুকিং দিচ্ছেন।

 

এদিকে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয় গত ৭ এপ্রিল। ওই দিন বিক্রি হয় ১৭ এপ্রিলের টিকিট। এরপর ৮ এপ্রিল ১৮ এপ্রিলের, ৯ এপ্রিল ১৯ এপ্রিলের, ১০ এপ্রিল ২০ এপ্রিলের এবং ১১ এপ্রিল বিক্রি হয় ২১ এপ্রিলের টিকিট। একইভাবে ঈদের ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে গতকাল ১৫ এপ্রিল থেকে। ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরুর প্রথম দিন অর্থাৎ ১৫ এপ্রিল বিক্রি হয়েছে ২৫ এপ্রিলের টিকিট। আজ ১৬ এপ্রিল বিক্রি হয়েছে ২৬ এপ্রিলের, ১৭ এপ্রিল ২৭ এপ্রিলের, ১৮ এপ্রিল ২৮ এপ্রিলের, ১৯ এপ্রিল ২৯ এপ্রিলের এবং ২০ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ৩০ এপ্রিলের টিকিট। এরই মধ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আন্তঃদেশীয় মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন ১৮ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত এবং মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন ২০ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে আন্তঃদেশীয় বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন যথারীতি চলাচল করবে। ঈদযাত্রা শুরুর দিন ১৭ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ঢাকাগামী একতা, দ্রুতযান, পঞ্চগড়, নীলসাগর, কুড়িগ্রাম, লালমনি ও রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনসমূহের ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রাবিরতি থাকবে না।

 

এদিকে আসন্ন ঈদে যাত্রীদের বাড়তি চাপ সামাল দিতে ও ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রার সুবিধার্থে ৯ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচলরত যেসব আন্তঃনগর ট্রেনের ডে-অফ (সাপ্তাহিক ছুটি) ছিল, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এসব ট্রেন নির্দিষ্ট গন্তব্যে প্রতিদিন চলাচল করবে। এছাড়া ঈদের দিন কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না।

 

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ঈদের অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য মোট ৫৩টি (পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ থেকে ৪০টি এমজি ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ ৪টি এমজি ও ৯টি বিজি মোট ১৩টি) যাত্রীবাহী কোচ সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য মোট ২১৮টি (পূর্বাঞ্চল ১১৬টি ও পশ্চিমাঞ্চল হতে ১০২টি) লোকোমোটিভ যাত্রীবাহী ট্রেন ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এছাড়াও গত সাত এপ্রিল যারা বাসের অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করেছিলেন তারাও নাড়ির টানে বাড়ি ফিরবেন। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের জন্য প্রতি বছরের মতো এবারো অগ্রিম বাসের টিকিট বিক্রি করা হয়।

 

কাউন্টারসহ অনলাইনে টিকিট সংগ্রহের ব্যবস্থা ছিল। নামি-দামি বাস কোম্পানিগুলোতে অগ্রিম টিকিটের জন্য ভিড় করেন যাত্রীরা। গরম বেশি হওয়ায় শুরুর দিকে এসি বাসের টিকিটের চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি। পরিবহন-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ১৮ ও ১৯ এপ্রিলের টিকিটের চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি। তবে ছোটখাটো বাস কোম্পানির টিকিট এখনো রয়ে গেছে।

 

গত ৭ এপ্রিল বিক্রি হয়েছে ১৭ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট। ৮ এপ্রিল ১৮ এপ্রিলের, ৯ এপ্রিল ১৯ এপ্রিলের, ১০ এপ্রিল ২০ এপ্রিলের এবং ১১ এপ্রিল বিক্রি হবে ২১ এপ্রিলের ঈদযাত্রার ট্রেনের টিকিট। এদিকে, ২২ এপ্রিল শনিবার ঈদুল ফিতর ধরে (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) বাস কাউন্টারগুলোতে বিক্রি হয় ১৬ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত।

 

সোহাগ পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি ফারুক তালুকদার সোহেল বলেন, নিরাপদ ঈদ সার্ভিসের জন্য পরিবহন মালিকদের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। রাস্তায় যদি যানজট না থাকে তাহলে যাত্রীরা দ্রুত সময়ে ও নিরাপদে বাড়ি পৌঁছতে পারবেন।

 

ভোরের আকাশ/আসা