কুমিল্লার দক্ষিণাঞ্চলের বাণিজ্যিক নগরীখ্যাত দৌলতগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন হাটবাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মৌসুমী রসালো ফল তরমুজ। স্থানীয় একাধিক ব্যবসায়ী জানায়, গ্রীষ্মকালে তৃপ্তিদায়ক, চলমান ভ্যাপসা গরমে উপকারী রসালো ফল এ তরমুজ।

কুমিল্লার চান্দিনা, নিমসার, দাউদকান্দি, বরুড়া, চাঁদপুর-নোয়াখালী চরাঞ্চল, খুলনা, ফরিদপুর ও সিলেট-চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় তরমুজের ভালো ফলন হয়েছে। তবে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এ তরমুজ। কৃষকরা উৎপাদিত পণ্যের ভালো দাম পেয়ে খুশি। কিন্তু ক্রেতারা এখনো কিনতে আগ্রহ না দেখালেও এলাকার কিছু সৌখিন মানুষ বছরের প্রথম মৌসুমী ফল হিসেবে দাম অত্যন্ত চড়া বিধায় তারা অনেকটাই অখুশি।

ক্ষেতে পাঁকা তরমুজের ভালো দাম পাওয়ার আশায় বাজারে তুলতে শুরু করেছে কৃষকরা। তবে কিছুদিনের বৃষ্টিপাতের কারণে ফসলি জমিগুলোতে পানি জমে যাওয়ায় অনেক তরমুজ নষ্ট হয়ে গেছে। পাইকারি তরমুজ প্রতিটা ১৫০ টাকা থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পরিবহন খরচসহ নানা খাতে ব্যয় ধরে ১০% লাভে প্রতিটি তরমুজ খুচরা বাজারে ২০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সূত্রগুলো আরো জানায়, শীতের শেষে বসন্তের আগমণে মৌসুমী জলবায়ুর প্রবাহে এ অঞ্চলে এখনো বৃষ্টিপাত না হওয়ায় তরমুজ ক্ষেতের মালিকরা রয়েছেন ফুরফুরে মেজাজে। কারণ আগাম ফলন ভালো হয়েছে এবং দামও অনেক বেশি পাচ্ছে। এ রসালো ফল তরমুজ মানবদেহের নানা রোগ প্রতিরোধে উপকরণ হিসেবে এবং সুস্বাদু খাবার তৈরিতে ব্যবহার হয়ে থাকে।

বিশেষ করে তরমুজ চাষাবাদে কৃষি দপ্তরের সবগুলো পদ্ধতি ব্যবহার ও স্থানীয় সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে চাষাবাদ করায় এ মৌসুমী ফল তরমুজের এ বছর ভালো ফলন হয়েছে। অপরদিকে ১ একর জমিতে তরমুজ চাষাবাদে সকল ব্যয় হিসাব বাদ দিয়ে প্রায় ১/দেড় লাখ টাকা লাভবান হবে কৃষকরা।

স্থানীয় বাজারে তরমুজ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা দেশের বিভিন্ন মোকাম থেকে নানা মৌসুমী ফল-ফলাদি আমদানি করে থাকি। তবে পাইকারি বাজারে নতুন এ রসালো ফলটির দাম অনেক চড়া বিধায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।

আগামী কিছুদিনের মধ্যে দেশের উত্তরবঙ্গ কিংবা চাঁদপুর-নোয়াখালী চরাঞ্চল ও খুলনা-ফরিদপুরের তরমুজ পাকা ধরলে দাম অনেকাংশই কমে যাবে। এখন এ ফলটি ভালোভাবে এখনো পাকেনি। কিংবা মিষ্টি-স্বাদ হয়নি। বৃষ্টিপাতের পরপরই সাধারণত এ তরমুজ সুস্বাদুু হয়ে উঠবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক বিভাগের কর্মকর্তাদের মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

ভোরের আকাশ/নি