logo
আপডেট : ১৯ এপ্রিল, ২০২৩ ১৪:৩১
পোশাক তৈরির কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে
দিনাজপুর প্রতিনিধি

পোশাক তৈরির কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে

ব্যস্ততা বেড়েছে পোশাক শ্রমিকদের

ঈদের দিন ঘনিয়ে আসায় দিনাজপুরের হিলিতে পোশাক তৈরির কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে। দিনরাত সমান তালে কাজ করছেন কারিগররা। যেন তাদের দম ফেলার ফুসরত নেই।

 

তবে গতবারের চেয়ে কাজের চাপ কম থাকায় মজুরি বাড়েনি, তাই ক্ষোভ জানিয়েছেন কারিগররা। এদিকে পছন্দের পোশাক বানিয়ে নিতে দর্জির দোকানে ভিড় করছেন গ্রাহকরা। কাজের চাপ থাকায় অর্ডার নেওয়া বন্ধের কথা জানিয়েছেন টেইলার্স মালিকরা।

 

বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, দিন রাত কাজ করছেন দর্জিরা। ছোট বড় টেইলার্সে যেনও দম নেওয়ার সময় নেই। সেলাই মেশিনের শব্দে চারদিক মুখরিত হয়ে উঠেছে। এদিকে নিজের পছন্দ মতো পোশাক তৈরি করে নিতে টেইলার্সগুলোতে ভিড় করছেন নারী ও পুরুষরা।

 

বাজারে পোশাক সেলাই করতে আসা নাজমা আকতার বলেন, ‘আর কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের সময় টেইলার্সগুলোতে খুব ভিড় থাকে। এ সময়ে তারা পোশাক তৈরির কাজ রাখতে চান না। আবার ভিড়ের কারণে অনেক সময় সেলাই ঠিকমত হয় না মাপে ভুল থাকে। যার কারণে খানিকটা আগে ভাগেই পছন্দের পোশাক সেলাই করতে দিয়ে গেছিলাম। পোশাক তৈরি হয়ে গেছে সেই পোশাক নিতে এসেছি।’

 

অপর ক্রেতা সেলিম হোসেন বলেন, ‘টেইলার্সে এসেছি পাঞ্জাবি পায়জামা বানাতে দেওয়ার জন্য। বাজার থেকে তৈরি করা পোশাক কিনলে সেগুলো শরীরে ঠিকমতো ফিটিং হয় না। চাহিদা মতো ডিজাইন থাকে না। টেইলার্সে বানালে ফিটিং ঠিকমতো হয়, মন মতো ডিজাইন নিতে পারি।’

 

কারিগর ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘পোশাক তৈরির কাজ স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বর্তমানে একটু বেশি হচ্ছে। যেহেতু আর কয়েকদিন পরই ঈদ তাই ঈদকে ঘিরে কাজের চাপ বেড়েছে। আগে যেখানে সারাদিন কাজ করতে হতো এখন সেখানে অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে।’

 

পোশাক তৈরির কারিগর জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘কাজ বাড়লেও আমাদের কাজের মূল্য বাড়েনি। আগে যে মূল্যে কাজ করা হতো এখনো সেই মূল্যেই কাজ করতে হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বমুখী তাতে এই আয় দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

 

অপর কারিগর ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আগে স্বাভাবিক সময়ে যে কাজ হতো তাতে দেখা যাচ্ছিল দৈনিক ২৫০-৩৫০ টাকা মজুরি পেতাম। এখন কাজ বাড়ায় বর্তমানে সাড়ে ৫০০-৭০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি পাচ্ছি।’

 

হিলি বাজারের বাদশা টেইলার্সের মালিক আকবর হোসেন বলেন, ‘ঈদকে ঘিরে কাজের চাপ খানিকটা বেড়েছে। কিন্তু গতবছরের তুলনায় এ বছর কাজের চাপ কম। গতবছর কাজের চাপের কারণে ১৫ রমজান পর্যন্ত অর্ডার নেওয়া হয়। এবার চাপ কম থাকায় সময় বাড়িয়ে অর্ডার নেওয়া হচ্ছে।’

 

হিলি বাজারের সাজ টেইলার্স মালিক সরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আগের মতো কাজের চাপ নেই। যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে তাতে এই ব্যবসায় তেমন একটা লাভ নেই।’

 

ভোরের আকাশ/নি