logo
আপডেট : ২৮ এপ্রিল, ২০২৩ ১৫:৫০
রাষ্ট্রপতির রাজসিক পালাবদল গণতন্ত্রের পালে হাওয়া
মোতাহার হোসেন

রাষ্ট্রপতির রাজসিক পালাবদল গণতন্ত্রের পালে হাওয়া

মোতাহার হোসেন : ২০২২ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করেছে দেশের মানুষ। কিন্তু স্বাধীনতা অর্জনের দীর্ঘ ৫২ বছরে রাষ্ট্রের অভিভাবক তথা রাষ্ট্রপতির আনুষ্ঠানিক বিদায় জানানো সম্ভব হয়নি। জাতি হিসেবে এটা আমাদের দুর্ভাগ্য ও ব্যর্থতা।

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল মনে করে, ‘বিগত দিনে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার ধারাবাহিকতা না থাকায় অতীতে কোনো রাষ্ট্রপতিকে মেয়াদ পূর্তির পর রেওয়াজ অনুযায়ী সম্মানজনক বিদায় জানানো সম্ভব হয়নি।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশে গত ১৪ বছর গণতান্ত্রিক সরকারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকায় এই প্রথম দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে ১০ বছর ৪১ দিন দায়িত্ব পালন শেষে মো. আবদুল হামিদকে রাজসিক, মর্যাদাপূর্ণ এবং সম্মানজনক বিদায় জানাল দেশবাসী।

 

গণতান্ত্রিক সরকারের ধারাবাহিকতা এবং গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় রাষ্ট্রপতিকে এভাবে বিদায় জানানোয় বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা ও গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে নতুন উচ্চতায় অভিষিক্ত হলো দেশ ও জনগণ।বাংলাদেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে এমনটি আর কখনোই হয়নি। জাঁকজমকপূর্ণ রাষ্ট্রাচারে এমন বিদায় অনুষ্ঠানও দেখেনি বঙ্গভবন, দেখেনি দেশবাসী।

 

সফল, দক্ষতা, নিষ্ঠার সঙ্গে সব বিতর্ক, দল-মতের ঊর্ধ্বে ওঠে দায়িত্ব পালন শেষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বিদায় ও নবাগত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে বরণে বঙ্গভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠান সম্পর্কে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদেও এর প্রতিফলন ঘটেছে।

 

প্রসঙ্গত, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীনে ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর ২০১৩ সালের ২০ মার্চ তৎকালীন স্পিকার মো. আবদুল হামিদ ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন। এর ৪১ দিন পর ২০১৩ সালের ২২ এপ্রিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

 

গত ২৪ এপ্রিল দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বিদায় ও ২২তম রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে বরণে বঙ্গভবনকে সাজানো হয় নবরূপে। দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন মো. সাহাবুদ্দিন। তাঁকে শপথ পড়ান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বঙ্গভবনের দরবার হলে এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

ঐতিহাসিক ও রাজসিক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, সাংবাদিক, সম্পাদক, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধান, কূটনীতিক এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ প্রায় সহস্রাধিক অতিথি উপস্থিত ছিলেন।

 

দেশের ইতিহাসে ২১তম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২২তম রাষ্ট্রপতিকে মঞ্চে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান এবং দায়িত্ব হস্তান্তরের অংশ হিসেবে নিজ নিজ আসন বদল করেন। তখন অতিথিদের মুহুর্মুহু করতালিতে মুখরিত হয় ভাবগম্ভীর মিলনায়তন। অনুষ্ঠানের মঞ্চে ছিল তিনটি চেয়ার। মাঝের চেয়ারে বসেন মো. আবদুল হামিদ; তাঁর ডান পাশে মো. সাহাবুদ্দিন আর বাঁ পাশে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

 

শপথ অনুষ্ঠানের পরপরই শুরু হয় মো. আবদুল হামিদের বিদায় অনুষ্ঠান। সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে রাজসিক কায়দায় তাঁকে বিদায় জানায় বঙ্গভবন, যা দেশে আর কোনো রাষ্ট্রপতির ক্ষেত্রে ঘটেনি।

 

প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি সুসজ্জিত অশ্বারোহী দল বিদায়ী রাষ্ট্রপতিকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে। শপথ অনুষ্ঠান শেষ হয় জাতীয় সংগীত দিয়ে। পরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবন থেকে গুলশানের বাসায় যান। সন্ধ্যার পর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গভবনে ওঠেন। আর বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শপথ অনুষ্ঠানের পর ঢাকার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকায় তাঁর নিজের বাড়িতে ওঠেন।

 

বিদায়ী রাষ্ট্রপতি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি রাজনীতি করব বা অন্য কোনো পদে যাব এটা হবে না। এটা করলে আমার মনে হয় দেশের মানুষকে হেয় করা হবে, নিশ্চয় আমি তা করব না।’ তাঁর এই বক্তব্য অবশ্যই গণতান্ত্রিক রাজনীতির জন্য ইতিবাচক।

প্রসঙ্গত, দেশে স্বাধীনতা অর্জনের অর্ধশতাব্দীতে দুজন রাষ্ট্রপতি নিহত হয়েছেন; মাঝে স্বৈরাচারী এরশাদ গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন। মো. সাহাবুদ্দীন আহমদ, আব্দুর রহমান বিশ্বাস অপবাদ নিয়ে নীরবে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে প্রস্থান করেন। অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে ইম্প্রিসমেন্টের মাধ্যমে ৬ মাসের মাথায় পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। বিতর্কিত ও একগুয়েমির ভূমিকার কারণে ‘দেশে এক এগারো’ অস্বাভাবিক সরকার প্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে কুঠারাঘাত করে কলংকের তিলক নিয়ে প্রস্থান করেন ইয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ। আর এ কারণেই মো. আবদুল হামিদের শান্তিপূর্ণভাবে দুই মেয়াদ পূর্ণ করে বঙ্গভবন থেকে আনুষ্ঠানিক রাজসিক বিদায় নেয়ার ঘটনা দেশে স্থিতিশীল ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার অনন্য ও বিরল দৃষ্টান্ত বলে মনে করেন অনেকেই।

 

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন মো. সাহাবুদ্দিন। তাঁর রয়েছে আইন পেশা, বিচারালয় ও দুদকে দায়িত্ব পালনের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার। এ ছাড়া মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন, ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্য দিয়ে পর্যায়ক্রমে যুবলীগ, আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

 

মূলতঃ ছাত্র রাজনীতি থেকে এখন বঙ্গভবনে স্থিত হলেন মো. সাহাবুদ্দিন। ছয় দফা আন্দোলনের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে রাজপথে নেমেছিলেন মো. সাহাবুদ্দিন। তাঁর জন্ম ১৯৪৯ সালে পাবনা শহরের জুবিলি ট্যাঙ্কপাড়ায় (শিবরামপুর)। শৈশব কেটেছে ওই শহরেই।রাধানগর মজুমদার অ্যাকাডেমি থেকে ১৯৬৬ সালে এসএসসি পাসের পর পাবনার এডওয়ার্ড কলেজে ভর্তি হয়ে জড়িয়ে পড়েন ছাত্র রাজনীতিতে। এডওয়ার্ড কলেজ থেকে ১৯৬৮ সালে এইচএসসি ও ১৯৭২ সালে বিএসসি পাস করেন তিনি। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৪ সালে মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ও পাবনা শহীদ অ্যাডভোকেট আমিনুদ্দিন আইন কলেজ থেকে ১৯৭৫ সালে এলএলবি ডিগ্রি পান।

 

ছাত্রলীগে যুক্ত হওয়ার পর এডওয়ার্ড কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক, অবিভক্ত পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি থেকে ছয় বছর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়কের পদে থাকা সাহাবুদ্দিন মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ছাত্রলীগের সক্রিয় রাজনীতির ধারাবাহিকতায় পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্বে আসেন। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ গঠিত হলে তিনি পাবনা জেলা কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মনোনীত হন।

 

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর তাঁর দল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকে গ্রেপ্তার করে সে সময় ক্ষমতা দখলকারীরা। মো. সাহাবুদ্দিনকেও তখন কারাবরণ করতে হয়। কারামুক্তির পর পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পান তিনি। পেশাজীবনের শুরুতে পাবনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) পরীক্ষা দিয়ে তিনি বিচারক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৫ ও ’৯৬ সালে পরপর দুইবার বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত হন তিনি। বিচারালয়ে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন শেষে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে ২০০৬ সালে অবসরে যান তিনি। এর মধ্যে শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান পদেও তিনি ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্বও পালন করেন। বিচারক জীবনের ইতি টানার পর তিনি আইন পেশায় ফেরেন। এরপর তাঁকে দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি সেই দায়িত্ব পালন করেন।

 

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর হামলার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশনের প্রধান ছিলেন মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন। এরপর দলের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কর্মজীবনে সাংবাদিকতায়ও যুক্ত ছিলেন তিনি। বিচার বিভাগে যোগ দেয়ার আগে ১৯৮০ থেকে দুই বছর দৈনিক বাংলার বাণীতে সাংবাদিকতা করেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে মো. সাহাবুদ্দিন এক ছেলের বাবা। তাঁর স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা যুগ্ম সচিব ছিলেন।

 

রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে যেকোনো সংকট সমাধানে যোগ্য নেতৃত্বের প্রত্যাশা আমাদের। আগামী দিনগুলোতে তিনি রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে শপথ অনুযায়ী জনগণ ও দেশের পক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন বলে প্রত্যাশা করছি। নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রত্যাশা সম্পর্কে জানতে চাইলে মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘নতুন রাষ্ট্রপতি যেন সাংবিধানিকভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে পারেন এটাই আমার এবং জাতির প্রত্যাশা।’

 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অব্যাহত গণতন্ত্রের কারণেই একজন সফল রাষ্ট্রপতির সম্মানজনক বিদায় ও নতুন রাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহণ সম্ভব হয়েছে।

 

গত ২৪ এপ্রিল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদ-পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় ও সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনাকালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মতোই জনবান্ধব রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিন দায়িত্ব পালন করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন তথ্যমন্ত্রী।তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ^াস করি, যিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন, তিনি অত্যন্ত যোগ্যতার সঙ্গে, বিচক্ষণতার সঙ্গে তাঁর দায়িত্ব পালন করবেন।’

 

নতুন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ ও বিদায়ী রাষ্ট্রপতিকে আনুষ্ঠানিক বিদায়ের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিচালনার সৌন্দর্য সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। একই সঙ্গে সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি পরপর দু’বার তাঁর দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করতে পেরেছেন। মনে রাখা উচিত, রাষ্ট্রপতি পদের গুরুত্ব, সৌন্দর্য ও বৈশিষ্ট্যের আলাদা মর্যাদা রয়েছে। রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নতুন রাষ্ট্রপতি অতীত জীবনের নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়েই আজকের পর্যায়ে পৌঁছেছেন। ছাত্রজীবন থেকে যে আদর্শ লালন করে এসেছেন, তা থেকে কখনো বিচ্যুত হননি। এ দীর্ঘ সময়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তিনি সফলতার সঙ্গে পালন করেছেন। তিনি এখন আরো বড় পরিসরে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছেন। ১৭ কোটি মানুষের ভরসাস্থল, প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ পদে দায়িত্ব পালন করার জন্য যে যোগ্যতা থাকা দরকার তা নতুন রাষ্ট্রপতির আছে। তিনি তাঁর কর্মকাণ্ড, মেধা, বিচক্ষণতা, প্রজ্ঞা দিয়ে জনপ্রত্যাশা পূরণে সফল হবেন সেই প্রত্যাশা করছি।

 

লেখক : উপদেষ্টা সম্পাদক, দৈনিক ভোরের আকাশ এবং সাধারণ সম্পাদক-বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম।

 

ভোরের আকাশ/আসা