ফিরছি তোমার চিতায়
অনিল সেন
বাতাসে গন্ধ শুঁকে শুঁকে বাড়ি ফিরছি
যত এগোচ্ছে মায়ের আঁচলের ঘ্রাণ
আচ্ছন্ন করে ফেলছে।
কড়াই তাপে শিরশির প্রশান্তির নিশ্বাস
ট্রেনের হঠাৎ হঠাৎ আচমকা হুঙ্কার
আতকে উঠে আমার মায়ের প্রাণ!
ঝুনঝুন বাজনার তালে হকারের হাঁক-ডাক
পেঁয়াজ মরিচ তেলে মাখা চানাচুরের গন্ধ
মায়ের মাখানোর ছবি চোখে ভাসে।
ঝিঁঝি পোকার বৈতালিক ডাক
ট্রেনের জানালার ফাঁক দিয়ে দেখা
দ্রুত হারিয়ে যাওয়া দূর গ্রামের মিটিমিটি আলো
মায়ের অপেক্ষার কথা মনে পড়ে।
চলন্ত ট্রেনের ছন্দ-আনন্দে, মায়ের ব্যাকুলতার
ডাক, চোখের পাতা ভারী হয়ে আসে
শ্রান্ত হয়ে পড়ে শরীর।
আয়, আর ক-তো-দূ-র!
তোরে দেখি না কতদিন বাবা!
এই-ই তো এখন জয়দেবপুর
তারপর বঙ্গবন্ধু সেতু এরপরেই উত্তরবঙ্গ!
তোমার একদম সন্নিকটে!
এই চলে এলাম বলে!
তুমি মারভাত আর বেশি করে সরিষার
তেল দিয়ে আলু ভর্তাটা করবে কিন্তু!
মায়ের কথা দিয়ে আমার অন্তর সাজানো
দুচোখের পাপড়িতে দৃশ্য সঞ্চিত
ছাইভস্মের অক্ষরে মাকে লিখলাম-
মা মাগো, তুমি রাগ করো না!
আমার নিঃসঙ্গতা নিয়ে
শিগগির ফিরছি তোমার চিতায়!
ভোরের আকাশ/নি