logo
আপডেট : ২ মে, ২০২৩ ১৭:০৭
বঙ্গবন্ধুর দুর্নীতি বিরোধী ভাষণ দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের
নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধুর দুর্নীতি বিরোধী ভাষণ দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

দুর্নীতি বিরোধী ও অর্থ পাচার প্রতিরোধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া ভাষণ-বক্তৃতা (অডিও-ভিডিওসহ) এক মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে শিক্ষা সচিব, আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

 

একইসঙ্গে দুর্নীতি বিরোধী ভাষণগুলো স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্যসূচিতে অন্তভূক্ত করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

 

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া আগামী ৪ জুন পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, শিক্ষা সচিব, আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান, দুদকসহ বিবাদিদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এসময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন।

 

আদালত দুদক আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা করতে হলে সোনার মানুষ চাই। তার জন্য সবার ভূমিকা রাখতে হবে। সাংবাদিকরা সমাজের চোখ, তাদের ভ‚মিকা রাখতে হবে। তবে বিচ্ছিন্ন হয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা যাবে না। দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে হার্ডলাইনে যেতে হবে, কঠোর হতে হবে। নমনীয়তা দেখিয়ে দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে না।

 

এক নোবেল বিজয়ী বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে দুর্নীতির বিষয়ে নমনীয়তা আছে।

 

আদালত বলেন, যদি দুর্নীতি বন্ধ করতে চান, তাহলে তিনটি বিষয় অবশ্যই মানতে হবে।

 

এক. দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর একটি সিস্টেম স্থাপন করতে হবে।

 

দুই. আইন-বিধি মান্য করতে হবে, আইন-বিধির প্রয়োগ করতে হবে।

 

তিন. জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ হতে হবে।

 

আদালত আরো বলেন, কেবল আইন-বিধি বা রায়-আদেশ দিয়ে দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে না। আগে নিজেদের আইন-বিধি মানতে হবে। যারা সার্ভিসে ঢুকছেন তারা কী নিয়ে ঢুকছেন আর কী নিয়ে বের হচ্ছেন তার স্বচ্ছতা থাকতে হবে। সবার জবাবদিহিতা থাকতে হবে।

 

সরকার, সংবাদ মাধ্যম, বিচার বিভাগসহ সব অংশীজনদের নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। একা বিচার বিভাগ বা সরকারের পক্ষে দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে না। দেশকে ভালোবাসলে আইনের শাসন মানতে হবে। দুর্নীতির বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতিতে থাকতে হবে।

 

আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কানাডার বেগম পাড়ায় কাদের বাড়ি, কারা টাকা পাচার করেছে, সুইস ব্যাংকে কারা টাকা রেখেছে, এসব নিয়ে আদেশ দিয়েছি। কিন্তু কোনো আদেশের বাস্তবায়ন নেই।

 

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান বা তদন্তের সময় তদন্তকারী কর্মকর্তারা যাতে বঙ্গবন্ধুর দুর্নীতি বিরোধী ভাষণ-বক্তৃতার চেতনা মাথায় রেখে কাজ করেন, সেটি সংস্থাটির চেয়ারম্যানকে নিশ্চিত করতে বলেছেন হাইকোর্ট।

 

ভোরের আকাশ/নি