logo
আপডেট : ৪ মে, ২০২৩ ১৪:২৬
সরিষা তেলে ভাগ্যবদল জিল্লুরের
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

সরিষা তেলে ভাগ্যবদল জিল্লুরের

জিল্লুর রহমান

একটি সরিষার তেলের মেশিনের বদৌলতে জিল্লুর রহমানের জীবনের ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে। দুশ্চিন্তা, হতাশা থেকে বের হয়ে মাত্র দেড় বছরের মাথায় স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন এই যুবক। ৫০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু করেন তিনি। জিল্লুর জিমি খাটি সরিষার তেল নামে ফ্যাক্টরি শুরু করেন তিনি।

 

কক্সবাজার জেলার চকরিয়া বরইতলীতে গ্রামের বাড়ির পার্শ্ববর্তী এলাকায় গড়ে তুলেছেন তেঁতুল গাছের ঘানি ভাঙা সরিষার তেলের অয়েলমিল।

 

ব্যবসা ক্রমাগতভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছে। পরিশ্রমের ফল পেয়েছেন তিনি। মাত্র দেড় বছর আগেও পোল্ট্রিফার্মে বড় ধরনের লোকসান দিয়ে দিশেহারা হয়ে যান জিল্লুর।

 

প্রবল ইচ্ছাশক্তি, অদম্য সাহসের ওপর ভর করে জিমি খাঁটি সরিষার তেলের ফ্যাক্টরির মাধ্যমে ৩৪ বছর বয়সি জিল্লুর জীবনের মোড় ঘুরে যায়। তার মিলে প্রস্তুতকৃত বোতলজাত জিমি খাঁটি সরিষার তেল কক্সবাজারের গন্ডি ছাড়িয়ে চট্টগ্রামের অলিগলিতে পৌঁছে যাচ্ছে।

 

গুণ ও মানে সুনাম অর্জন করেছে জিল্লুর জিমি সরিষা তেল। জিল্লুর এই তেল পৌঁছে দিতে চান সারা দেশে। এই অয়েলমিল আরো সম্প্রসারণে করে বৃহত্তর পরিসরে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর তিনি।

 

জিল্লুর রহমান বলেন, এই অয়েল মিল আমার জীবনের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে। বেকার জীবন থেকে মুক্তি লাভ করতে মাত্র ৫০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করেছিলাম। এখন আমার কোটি টাকার ব্যবসা। পরিশ্রম আর সততা আমাকে সফলতা এনে দিয়েছে।

 

স্বাস্থ্যসম্মত, পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে জিমি খাঁটি সরিষার তেলের যাত্রা। তার ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে শতাধিক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে। কক্সবাজার শহর ঈদগাহ, চকরিয়া, বরইতলী, চট্টগ্রাম লোহাগাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক শোরুম।

 

এমনকি অনলাইনেও চলছে জিমি সরিষার তেলের জমজমাট ব্যবসা।

 

ভোরের আকাশ/নি