logo
আপডেট : ৭ মে, ২০২৩ ১৮:১০
ঢাবির বাংলা বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষায় মুখমণ্ডল খোলা রাখার বিজ্ঞপ্তি স্থগিতই থাকছে
এম বদি-উজ-জামান

ঢাবির বাংলা বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষায় মুখমণ্ডল খোলা রাখার বিজ্ঞপ্তি স্থগিতই থাকছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগে সংযোগ ক্লাস (টিউটরিয়াল/প্রেজেন্টেশন), পরীক্ষার সময় ছাত্রীদের মুখমণ্ডল খোলা রাখা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম। তবে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ঢাবি কর্তৃপক্ষের করা আবেদনের ওপর আগামী ২২ মে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। ঢাবির পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও সহকারী অ্যার্টনি জেনারেল মো. সাইফুল আলম।

 

এর আগে গত ২৮ মার্চ হাইকোর্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগে সংযোগ ক্লাস (টিউটরিয়াল/প্রেজেন্টেশন), পরীক্ষার সময় ছাত্রীদের মুখমণ্ডল খোলা রাখা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা ছয়মাসের জন্য স্থগিত করে আদেশ দেন। হাইকোর্ট অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেন। রুলে মুখমণ্ডল ঢেকে রাখা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিটি কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। শিক্ষা সচিব, ঢাবি ভিসি, রেজিষ্ট্রার ও বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। তিন শিক্ষার্থীর করা এক রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেয়া হয়। হাইকোর্টের এই আদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার বিচাপতির আদালতে আবেদন করে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।

 

গত বছর ১১ ডিসেম্বর বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. আজিজুল হক স্বাক্ষরে ছাত্রীদের মুখমণ্ডল খোলা রাখা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এ বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তিন শিক্ষার্থীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন।

 

নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়, “বাংলা বিভাগের সব শিক্ষার্থীকে জানানো যাচ্ছে যে গত ১৮/৯/২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত বাংলা বিভাগের একাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতভাবে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে : ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ ক্লাস (টিউটরিয়াল/প্রেজেন্টেশন), মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য কানসহ মুখমণ্ডল পরীক্ষা চলাকালীন দৃশ্যমান রাখতে হবে।”

 

ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, “এ সিদ্ধান্ত প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষকগণ ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেছেন। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো শিক্ষার্থী এই সিদ্ধান্ত পালনে শৈথিল্য দেখাচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬/১২/২০২২ অনুষ্ঠিত বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় : ‘১৮/৯/২০২২ গৃহীত সিদ্ধান্ত উপরোক্ত যথাযথভাবে যারা পালন করবে না তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

 

ভোরের আকাশ/মি