বৃদ্ধ বাবা মো. শাহজাহানের কাজে সহযোগিতা করে মো. নাঈম নামের ১৬ বছরের কিশোর। লালমোহন পৌর শহরের বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্টে টিউবওয়েলের খাবার পানি সরবরাহ করে সে। এতে তৃষ্ণা মেটায় মানুষ, এ পানিতেই জীবন চলে তাদের।
দ্বীপ জেলা ভোলার লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের চরছকিনা এলাকার জামাল খান বাড়িতে বাবা-মা এক ভাইকে নিয়ে থাকেন নাঈম। ভ্যানে করে ১০টি কলস নিয়ে টিউবওয়েলের পানি পৌঁছে দিচ্ছে বাজারের হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোতে। যার বিনিময়ে সে কলসপ্রতি পায় ৮ থেকে ১০ টাকা।
এ কাজ মূলত করতেন তার বৃদ্ধ বাবা শাহজাহান। বাবা যখন অসুস্থ হয়ে পড়েন, জীবিকার তাগিদে তখনই হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোতে পানি পৌঁছানোর দায়িত্ব এসে পড়ে নাঈমের কাঁধে।
নাঈম বলে, চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে আমি সবার ছোট। অনেক কষ্টে বোনকে বিয়ে দিয়েছি। বাকি ২ ভাই বিয়ে করে সংসার নিয়ে তাদের মতো করে থাকছে। এখন বাবা-মা এবং আরেক ভাইসহ আমিই সংসারে আছি।
বাবা যখন অসুস্থ হয়ে যায়, তখন পৌর শহরের বিভিন্ন টিউবওয়েল থেকে কলসে পানি ভরে ভ্যানে করে আমিই মানুষের দোকানে গিয়ে পৌঁছে দেই। প্রতিদিন দেড়শ কলস পানি দিতে পারি। সে টাকা দিয়েই কোনোরকমে চলে আমাদের চলে সংসার।
এ ছাড়া, অন্য সময় আমি ডেকোরেশনের দোকানে কাজ করি। এর মাধ্যমে কিছু টাকা উপার্জন করে সংসারে দিচ্ছি।
ভোরের আকাশ/নি