সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলা চলচ্চিত্রের মিয়া ভাই খ্যাত নায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা - ১৭ (গুলশান - বনানী) আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক)। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তার ছেলে রওশন হোসেন পাঠান শরৎ। সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে প্রায় দুই বছরের বেশি সময় চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
এফডিসিতে সম্পন্ন হয়েছে নায়ক ফারুকের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা। এরআগে সোমবার রাতে সিঙ্গাপুরে হয়েছে এই নায়কের প্রথম জানাজা।
মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৫৩ মিনিটে এফডিসিতে নায়ক ফারুকের দ্বিতীয় নামাজে জানাজায় উপস্থিত ছিলেন নায়ক আলমগীর, উজ্জ্বল, কাজী হায়াৎ, ফেরদৌস, মিশা সওদাগর, বাপ্পী সহ নবীন প্রবীণ চলচ্চিত্রকর্মীরা। দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা ছাড়াও অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগীরা জানাজায় অংশ নেন।
ফারুককে এফডিসিতে আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াত, পরিচালিক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমালিয়া ইউনিয়নে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে তাকে। ফারুকের মেয়ে ফারিয়া তাবাসসুম পাঠান জানান, জানাজার নামাজের বিষয় এখনো পারিবারিকভাবে কোনো সিন্ধান্ত হয়নি।
উল্লেখ্য, গতকাল সকাল ৮:৩০ মিনিটে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন নায়ক ফারুক। চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার মৃত্যুতে চলচ্চিত্র অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় আসেন চিত্রনায়ক ফারুক। অভিনয়ের জন্য ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
২০১৬ সালে ভূষিত হয়েছেন আজীবন সম্মাননায়।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে সারেং বৌ, লাঠিয়াল, সুজন সখী, নয়নমনি, মিয়া ভাই, গোলাপী এখন ট্রেনে, সাহেব, আলোর মিছিল, দিন যায় কথা থাকে ইত্যাদি।
ভোরের আকাশ/নি