কিশোরগঞ্জের ভৈরবে শাশুড়ির নির্যাতন সইতে না পেরে চিরকুট লিখে শিশুসন্তান নিয়ে গৃহবধূ জোনাকির আত্মহত্যার ঘটনায় শাশুড়ি-স্বামীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে হত্যা প্ররোচনার মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে নিহত জোনাকি বেগমের বাবা রইছ মিয়া এ মামলা করেন। মামলা করার এক দিন পরেই বুধবার সকাল ১০টায় অভিযুক্ত শাশুড়ি বেবী বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
মামলায় অভিযুক্তরা উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুর শান্তিপাড়া এলাকার ফারুক মিয়ার স্ত্রী বেবী আক্তার (৫৫), স্বামী ইতালি প্রবাসী ফরহাদ মিয়া, আব্দুল আজিজ মিয়ার মেয়ে কুলসুম আক্তার (২৫), শাহীন মিয়া (৫৫) ও উছমান মেম্বার (৪৮)।
এ বিষয়ে নিহতের বাবা রইছ মিয়া বলেন, আমার মেয়েকে তার শাশুড়ি ও স্বামীসহ স্বজনরা দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার করে আসছে। ঘটনার দিন আমার মেয়েকে তার স্বামী যত টাকা লাগে দিয়ে তালাক দেবে বলে ফোনে জানায়। আমার মেয়েকে তারা বাধ্য করেছে আত্মহত্যা করতে। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারী প্রত্যেকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, নিহতের বাবা বাদী হয়ে শাশুড়ি ও স্বামীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেছেন। ঘটনার দিন একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি নিহতের চিরকুট।
ওই চিরকুট থেকেই জানা যায়, শিশুসন্তানকে হত্যা করে জোনাকি আত্মহত্যা করেছেন। তবে চিরকুটে শাশুড়ি ও স্বামীর অত্যাচারের কথাও লেখা রয়েছে। এ ঘটনায় শাশুড়ি বেবী আক্তারকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার উপজেলার শম্ভুপুর পাক্কামাথা শান্তিপাড়া এলাকার উছমান মেম্বারের বাড়ি থেকে ইতালি প্রবাসী ফরহাদ মিয়ার স্ত্রী জোনাকি বেগম ও তার শিশুপুত্র আলিফকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ভোরের আকাশ/নি