logo
আপডেট : ১৯ মে, ২০২৩ ১৪:৪০
বোরো মৌসুমে ১১ হাজার ৬৩০ হেক্টর জমিই অনাবাদি
রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি

বোরো মৌসুমে ১১ হাজার ৬৩০ হেক্টর জমিই অনাবাদি

রাজাপুরে অনাবাদি তিন ফসলা জমি

ঝালকাঠির রাজাপুরের ছয়টি ইউনিয়নে কৃষকরা বিভিন্ন কারণে তিন ফসলের জমিতে শুধু আমন ধান সকল জমিতে পূর্ণ মাত্রায় চাষ করলেও বোরো মৌসুমে চাষ করা হচ্ছে না বল্লেই চলে। কৃষকদের আবাদ বাড়ানোর জন্য পরামর্শ দিলেও তারা বেশি জমিতে চাষ করতে ইচ্ছুক না। উপজেলায় চাষযোগ্য জমির মোট পরিমাণ ১১ হাজার ৯৫০ হেক্টর।

 

এ বছর মাত্র ৩২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। ফলন খুব ভালো হয়েছে। বোরো মৌসুমে ১১ হাজার ৬৩০ হেক্টর জমিই অনাবাদি রয়েছে।

 

উপজেলার দুয়েকটি স্থানে ছিটে ফোটা নাম মাত্র বোরো ধানের আবাদ করা হচ্ছে। বোরো মৌসুমে প্রায় হাজার হাজার একর চাষযোগ্য জমি অনাবাদি পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

 

উপজেলার জীবনদাসকাঠি গ্রামের কৃষক আলতাফ তালুকদার, নজরুল ইসলাম সিকদার, বশির হাওলাদার ও স্বপন হাওলাদার জানান, এ এলাকার মাটির উর্বরতা, আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ ও সস্তাশ্রম থাকায় প্রায় ত্রিশ বছর আগে কৃষি জমিতে আমন, আউশ ও বোরো ধানের চাষ করা হতো এবং ভিটায় মরিচ, তীল, পেঁয়াজ, রসুন, মিষ্টি আলুসহ বিভিন্ন প্রকারের ডালের চাষ করা হতো।

 

কিন্তু কালের বিবর্তনে সার ওষুধের দাম বৃদ্ধি, শ্রমিক সংকট, হাল চাষের বলদ সংকট ও লোকসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন ফসলি জমি কেটে বাড়ি তৈরি এমনকি মাটি কেটে বৃক্ষ রোপণ করে ধান চাষ করা ছেড়ে দিয়েছে।

 

কৃষকরা জানান, এলাকার গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা পাকা হওয়ায় শ্রমিক স্তরের লোক জন বিভিন্ন যানবাহন কিনে শান্তিতে থেকে যাত্রি বহনসহ বিভিন্ন ওপায়ে উপার্জন করছেন। শ্রমিকরা এখন আর পানি, কাঁদা, রোদ ও বৃষ্টিতে কাজ করতে চায় না। তাই এলাকায় শ্রমিক সংকট থাকায় কৃষকরা শুধু আমনধান চাষ করছেন।

 

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসা. শাহিদা শারমিন আফরোজ বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে সেচ ও চাষ খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/নি