বাজারে চলে এসেছে নতুন আম। কিন্তু দাম রয়েছে নাগালের বাইরে।
বিক্রেতারা বলছেন, দাম কিছুটা বেশি থাকায় এবং মৌসুমের কয়েকটি আম এখনো না আসায় ক্রেতার পরিমাণ কম। জ্যৈষ্ঠ মাসকে বলা হয় মধুমাস। বাংলা মাসের এ সময়টা রসাল ফলের সময় বলেই এ নাম পেয়েছে জ্যৈষ্ঠ। আর এ মধুমাসের অন্যতম আকর্ষণ ফলের রাজা আম। ইতোমধ্যেই রাজধানীর বাজারে এসেছে নানা জাতের আম। তবে এখনো জমে ওঠেনি বাজার।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন জাতের আমের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। তার মধ্যে রয়েছে হিমসাগর, কাটিমন, ল্যাংড়া, গোপালভোগ ইত্যাদি। হিমসাগর কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। ল্যাংড়া প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কাটিমন ১০০ টাকা ও গোপালভোগ ৯০ টাকায়।
বিক্রেতাদের ভাষ্যমতে, হিমসাগর আমের চাহিদা তুলনামূলক বেশি। যদিও ক্রেতার পরিমাণ আশানুরূপ নয়।
কথা হয় বিক্রেতা মিঠুর সঙ্গে। তিনি বলেন, বাজারে হিমসাগর, ল্যাংড়া, কাটিমন, গোপালভোগ আমগুলো এসেছে। এর মধ্যে হিমসাগরের চাহিদাটাই বেশি। তবে এখন পর্যন্ত ক্রেতার পরিমাণ বেশ কম। বাজার পুরোপুরি জমেনি। বাজারে তো এখনো আম আসেইনি। আর যেগুলা আছে সেগুলোর দামও বেশি। এক কেজি হিমসাগর কিনলাম ৯০ টাকা দিয়ে, অথচ গত বছর একই আম ৫০ থেকে ৬০ টাকায় কিনেছি।
আরেক বিক্রেতা আতিকুর রহমান বলেন, হিমসাগর এখন মোটামুটি বিক্রি হচ্ছে। তবে ক্রেতা নেই। দাম শুনলেই চলে যাচ্ছে। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, চাহিদা ও সরবরাহ বেড়ে গেলে আমের দাম কমে যাবে।
এছাড়া রাজশাহী থেকে আম আসা শুরু করলে বাজার চাঙ্গা হয়ে উঠবে।
অন্যদিকে আম বিক্রেতা মহসীন বলেন, মূলত এখন সিজন শুরু, তাই আমের দামটা বেশি। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা আগের মতো নেই, তাই হিসাব করে কেনাকাটা করছে। ১০-১৫ দিনের মধ্যেই আমের দাম কমে যাবে।
তিনি আরো বলেন, রাজশাহী থেকে এখনো আম আসা শুরু হয়নি। আর কিছুদিন পরই আম্রপালি, খিরসাপাতি, বারি, মোহনভোগ, ফজলি আমগুলো বাজারে এলেই ক্রেতা সমাগম বাড়বে, পাশাপাশি আমের দামও কমে যাবে।
কথা হয় আম কিনতে আসা তৌহিদ রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাজারে তো এখনো আম আসেইনি। আর যেগুলা আছে সেগুলোর দামও বেশি। এক কেজি হিমসাগর কিনলাম ৯০ টাকা দিয়ে, অথচ গত বছর একই আম ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে কিনেছি।
ভোরের আকাশ/নি