logo
আপডেট : ২২ মে, ২০২৩ ১৪:৩৬
সভাপতির বাবার নামে সরকারি অর্থে স্কুলের ভবন
নওগাঁ প্রতিনিধি

সভাপতির বাবার নামে সরকারি অর্থে স্কুলের ভবন

স্কুলের চারতলা একাডেমিক ভবন নির্মাণে খরচ হয়েছে দুই কোটি সপ্তাশি লাখ টাকা। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের করা এই ভবনের নামকরণ করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের সভাপতির বাবার নামে। এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে শিক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের কছিম উদ্দীন শাহ্ ১৯৬৮ চকশ্রীপুর জাবেদ আলী মেমোরিয়াল (এ.এম) উচ্চ বিদ্যালয় নামে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন।

 

২০২০ সালে স্কুলটির চারতলা একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন করা হয়। এই ভবনটি হয়েছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে। ২০২০ সালে নির্বাচিত বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোর উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় চারতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভবনের উদ্বোধন করেন স্থানীয় এমপি শহিদুজ্জামান সাকার।

 

সরকারি টাকায় নির্মিত এই ভবনের নাম রাখা হয়েছে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলিম আর রাজির বাবা আলহাজ্ব প্রফেসর নূর মোহাম্মদ শাহ্-র নামে।

 

ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মুনছুর রেজা মিলন ও মো শাহিনুর রহমান জানান, এ বিষয়ে কোন মিটিং বা রেজুলেশন করা হয়নি প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির একক সিদ্ধান্তে এ ভবনের নামকরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা।

 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে তেমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। সভাপতির ইচ্ছেই তার বাবার নামে ভোবনটির নামকরণ করা হয়েছে। তবে বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দেখেছেন তিনি কোন আপত্তি করেন নি।

 

পত্নীতলা উপজেলা শিক্ষা অফিসার এটিএম জিল্লুর রহমান জানান, এ বিষয়ে আমার জানানেই। কে কার নামে ভবনের নামকরণ করল এটি আমার দেখার বিষয় নয়। এবং এ বিষয়ে আমার করণীয় কিছু নেই।

 

তবে নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার লুৎফর রহমান জানান, সরকারি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোনো ব্যক্তির নামে করতে চাইলে ১০ লাখ টাকা জমা দিতে হবে। এটি সরকারি নিয়ম। সরকারের প্রজ্ঞাপনও রয়েছে। জাতীয় নেতা ও সাত বীর শ্রেষ্ঠদের ক্ষেত্রে তাদের পরিবার বা ট্রাস্টের অনুমোদন লাগবে।

 

কিন্তু একটি স্কুলের একাডেমিক ভবনের নাম কীভাবে স্থানীয় ব্যক্তির নামে করা হয়েছে তা জানা নেই। সরকারি টাকায় নির্মিত একাডেমিক ভবন কোনো ব্যক্তির নামে করার সুযোগ নেই।

 

এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

ভোরের আকাশ/নি