সীতাকুণ্ডু পৌরসভার রেলওয়ে ডেবার দক্ষিণ পাড় সংলগ্ন হাসান গোমস্তা পাড়া এলাকায় অবস্থিত ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টটি যোগাযোগ ব্যবস্থায় মারাত্মক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। কালভার্টটির দু’পাশের সড়কগুলো পৌরসভার অর্থায়নে দৃষ্টিনন্দন উন্নয়ন সাধিত হলেও বরাবরই উপেক্ষিত ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টটি।
কালভার্টটি এতই সরু যে, বিপরীত দিক থেকে আসা দুটি রিকশাও পরস্পরকে অতিক্রম করতে পারে না। অথচ অতি গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি ৬নং ওয়ার্ডের অন্যতম ব্যস্ত সড়কও বটে। সীতাকুণ্ডু আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, কথাকলি উচ্চ বিদ্যালয় ও কিন্ডার গার্ডেন, সীতাকুণ্ডু রেলওয়ে স্টেশন ও খেলার মাঠ ছাড়াও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শিব চতুদর্শী মেলায় আগত তীর্থযাত্রীরা বিকল্প সড়ক হিসেবে যুগ যুগ ধরে ব্যবহার করে আসছে খালের ওপর নির্মিত জরাজীর্ণ কালভার্টের এ সড়কটি।
কালভার্টটির এ বেহাল দশায় গাড়ি নিয়ে চলাচল দূরের কথা অনেক সময় স্কুলগামী বাচ্চারা একসঙ্গে হেঁটেও চলাচল করে ঝুঁকি নিয়ে। স্কুলগামী বাচ্চাদের যাতায়াতে নিয়মিত উদ্বিগ্ন থাকেন অভিভাবকরা।
এলাকাবাসীর দাবি, কালভার্টটি পুনর্নির্মাণ করা হোক। স্থানীয় বাসিন্দা মো. আব্দুল হান্নান জানান, পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ডের ব্যস্ততম সড়ক হওয়া সত্তে¡ও বারবার উপেক্ষিত কালভার্টটি মারাত্মক ঝুঁকির সৃষ্টি করেছে।
যেকোনো মুহূর্তেই কালভার্টটি ভেঙে ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। একই ঝুঁকির কথা জানান কালভার্টটির দক্ষিণ পাশের বাড়িতে বসবাসরত উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ও সীতাকুণ্ডু কিশোর ফুটবল টিমের প্রশিক্ষক মো. আব্দুস ছালাম, ডা. কামাল উদ্দিন ও বৈশাখী স্টোরের স্বত্বাধিকারী জয়নাল আবেদীন।
পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম জানান, এলাকাবাসীর দাবির সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত পোষণ করছি। তারই আলোকে ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টটি সরেজমিনে কয়েক দফা পরিদর্শন করা হয়েছে।
পৌরসভার অর্থায়নে কালভার্টটির সংযোগ সড়কগুলোর যথেষ্ট উন্নয়ন সাধিত হলেও চলাচলের একমাত্র সড়ক হওয়ায় বিকল্প ব্যবস্থা না করে কালভার্টটি ভেঙে পুনর্নির্মাণ করা যাচ্ছে না। অনুকূল পরিবেশে সুবিধাজনক সময়ে শিগগিরই কালভার্টটির নির্মাণকাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্ব পাবে।
ভোরের আকাশ/নি