পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ইমরান খানকে আট মামলায় জামিন দিয়েছেন রাজধানী ইসলামাবাদের একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত।
মঙ্গলবার পিটিআই প্রধানের আবেদন শুনানি চলাকালে আদালত ৮ জুন পর্যন্ত ইমরানের জামিন মঞ্জুর করেন। ১৮ মার্চ তোষাখানা মামলার শুনানি চলাকালে ইমরান ও তার দলের কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল ও তারা ইসলামাবাদের ফেডারেল জুডিশিয়াল কমপ্লেক্সের (এফজেসি) সামনে হাঙ্গামা করেছিল বলে অভিযোগ পুলিশের।
এই অভিযোগের পর ইমরানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে রাজধানীর গোলরা, বরা, কাহু, রমনা, খান্না ও সিটিডি পুলিশ স্টেশনে মামলা দায়ের করা হয়।
এদিন পরবর্তীতে ইমরান আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) সামনেও হাজির হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে জানিয়েছে ডন অনলাইন। এখানে এনএবি কর্তৃপক্ষ তাকে ফের গ্রেপ্তার করলেও সমর্থকদের শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে একটি জবাবদিহি আদালত ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৯ কোটি পাউন্ডের ঘুষের মামলায় ৩১ মে পর্যন্ত জামিন দেন। এনএবি কর্তৃক তার গ্রেপ্তার এড়াতে জামিনের আবেদন করেছিলেন বুশরা বিবি, আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করেন।
জিও নিউজ জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার স্ত্রী প্রথমে জবাবদিহি আদালতে হাজির হন, এই আদালত ও সন্ত্রাসবিরোধী আদালত একই জুডিশিয়াল কমপ্লেক্সে অবস্থিত। এর আগে লাহোর হাইকোর্ট এ মামলায় বুশরা বিবিকে ২৩ পর্যন্ত সুরক্ষামূলক জামিন দিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি পুনর্জামিনের জন্য আবেদন করেন। এখান থেকে তারা সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে (এটিসি) হাজির হন। এটিসি ইমরানের জামিন মঞ্জুর করার পর পিটিআই প্রধান ও তার স্ত্রী জুডিশিয়াল কমপ্লেক্স ত্যাগ করেন।
ইমরান এখন রাওয়ালপিন্ডিতে এনএবির দপ্তরে হাজির হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ভোরের আকাশ/নি