logo
আপডেট : ২৪ মে, ২০২৩ ১০:৪৮
রাজনীতির খেলায় বিপাকে পড়েছে বিএনপি
নিখিল মানখিন

রাজনীতির খেলায় বিপাকে পড়েছে বিএনপি

নিখিল মানখিন: রাজনীতির খেলায় বিপাকে পড়েছে বিএনপি। এক দফা দাবি বাস্তবায়নে দাঁড়াতে পারছে না মাঠে। হচ্ছে না নির্বাচনী প্রস্তুতি। নির্বাচনকেন্দ্রিক সিদ্ধান্তে বিভক্ত হয়ে পড়ছেন দলটির প্রথম সারির নেতারা। রাজনীতিতে সরাসরি অংশগ্রহণ নেই খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার।

 

এক বিএনপি নেতার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির ঘটনা যেন আওয়ামী লীগের সক্রিয়তা বাড়িয়ে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের প্রতিবাদ ও স্লোগানে কম্পিত সারা দেশ। আওয়ামী লীগের শান্তির সমাবেশ রূপ নিয়েছে প্রতিরোধ কর্মসূচিতে। আর আন্তর্জাতিক চাপের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় অবস্থান বিএনপির মানসিক অবস্থা আরো দুর্বল করে দিয়েছে।

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মাঠ। মুখোমুখি অবস্থানে দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।

 

২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে এই দুটি রাজনৈতিক দলের নেতারা তীব্র বাগ্যুদ্ধে সীমাবদ্ধ ছিলেন। ওই বছরের শেষ দিকে ঢাকায় বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজনৈতিক পরিস্থিতি। ঘটে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা। ওই সময় কৌশলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে আওয়ামী লীগ। তবে হাল ছাড়েনি বিএনপি। নানা কৌশলে তারা অব্যাহত রাখে বিভিন্ন দফার দাবি আদায়ের আন্দোলন।

 

বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচির বিপরীতে শান্তি সমাবেশ শুরু করে আওয়ামী লীগ, যা কিছুদিন আগেও অব্যাহত থাকে। কয়েকদিন আগে এক বিএনপি নেতার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির ঘটনায় পাল্টে যায় রাজনীতির চিত্র। শান্তি সমাবেশের পরিবর্তে বিএনপির আন্দোলন ঠেকাতে প্রতিরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ হাইকমান্ড।

 

বিএনপির এক দফা আন্দোলন: রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও পর্যবেক্ষক মহল বলছেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে আওয়ামী লীগকে চাপে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনপি। নির্বাচনের আগেই নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন করছে তারা। সরকার পতন ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে এক দফা আন্দোলন করার ঘোষণা দিয়েছে দলটি।

 

এজন্য আগে থেকে পর্যায়ক্রমে কর্মসূচি পালন করে আসছে তারা। একই ধরনের কর্মসূচিতে আছে সমমনা আরো অনেক দল। এসব দল নিয়ে চলমান যুগপৎ আন্দোলনকে এক দফার আন্দোলনে পরিণত করে দাবি আদায়ের লক্ষ্য রয়েছে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির।

 

দলটির বিভিন্ন সূত্রের দাবি, এক দফার আন্দোলন সফল করতে এখন পর্যায়ক্রমে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

 

এক দফার আন্দোলন হবে চূড়ান্ত আন্দোলন। এতে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণও নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। এক দফা আন্দোলন বাস্তবায়নের কর্মসূচি তৈরি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে বিএনপি।

 

তবে দাবি আদায়ের আন্দোলনের নকশা তৈরিতে কূলকিনারা পাচ্ছে না তারা। কঠোর আন্দোলনের হুঙ্কার দিয়েও মাঠে শক্ত অবস্থানে নেই তারা। ফলে মাঠপর্যায়ে দলটির নেতাকর্মীরা জোরালো আন্দোলনের তাগিদ দিচ্ছেন।

 

গত ২০ মে লালমনিরহাটের এক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ২০ দফা নয়, দাবি একটাই শেখ হাসিনার পদত্যাগ। দফা এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ। এই দাবি শুধু আমাদের নয়, দেশের জনগণেরও। লুটেরা এই সরকার ক্ষমতায় থাকুক তা এক মুহূর্তও চান না দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের পাশাপাশি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।

 

খালেদা জিয়ার কারাবন্দি ও অসুস্থতা: রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির সাবেক চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া দীর্ঘ বছর ধরে সরাসরি রাজনীতিতে নেই। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারিতে সাজাপ্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায়ও তিনি সাজাপ্রাপ্ত হন।

 

এরপর তিনি প্রায় দুই বছর কারাগারে ছিলেন। পরবর্তীতে করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবাবের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত হয়। দুটি শর্তে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেয় সরকার। শর্ত দুটি ছিল বাসায় থেকে চিকিৎসা নেয়া এবং বিদেশ যেতে না পারা। এরপর থেকে তিনি গুলশানের বাসা ফিরোজায় অবস্থান করছেন।

 

এছাড়াও সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, ডায়াবেটিসসহ কয়েকটি জটিল রোগে আক্রান্ত। তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার দাবিতে বিএনপি গত বছরজুড়ে নানা কর্মসূচি দিয়ে মাঠেও ছিল। সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে অনেকটাই লোকচক্ষুর অন্তরালে খালেদা জিয়া।

 

গত ১৪ মে গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে খালেদা জিয়ার কোনো পরামর্শ আছে কিনা?

 

জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেশ রাগান্বিত ভঙ্গিতে বলেন, আপনাদের বহুবার বলা হয়েছেÑ আমাদের ম্যাডাম অসুস্থ, তিনি এখন গৃহবন্দি। দলের কর্মসূচি নেয়া ও পালনের ক্ষেত্রে তার পরামর্শ নেয়ার সুযোগ নেই। তাকে বারবার ভিন্ন ট্র্যাকে নিয়ে আসছেন কেন?

 

বিএনপি নেতৃবৃন্দের মানসিক দূরত্ব সৃষ্টি: বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, খালেদা জিয়া তার অসুস্থতা এবং বয়সের কারণে দলের নেতৃত্বে সক্রিয় হবেন না এটি বাস্তবতা হিসেবে মেনে নিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সেখানে তার ছেলে তারেক রহমান বিদেশে থেকেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেন দলের তৃণমূলে।

 

যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোও এখন তার হাতের মুঠোয়। দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের অনেকে তারেক রহমানের নেতৃত্ব পছন্দ করেন না। ফলে বিএনপির নেতৃত্বের ভেতরে ইতোমধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নীরব অসন্তোষ ও মানসিক দূরত্ব।

 

হামলা-মামলার আতঙ্ক: দীর্ঘদিন ধরে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলার অভিযোগ করে আসছে বিএনপি। বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, কর্মসূচি ঘোষণা দিলেই তালিকাভুক্ত করে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাজানো হয় নানা ধরনের রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা। বিএনপির কর্মসূচিগুলোতে চলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলা।

 

গত শুক্রবার ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ক্ষমতা ধরে রাখতে আওয়ামী লীগ মরণকামড় দিচ্ছে। সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর চলছে হামলা-মামলা। পুলিশ প্রশাসন ব্যবহার করে যারা ক্ষমতায় টিকে থাকে, তারা জনগণের ভাষা বুঝতে চায় না। বর্তমান সরকারের সময় শেষ। মামলা- গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে আবারো একতরফা নির্বাচন করতে চায় ক্ষমতাসীন দল।

 

শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির অভিযোগ: এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের শান্তির সমাবেশ রূপ নিয়েছে প্রতিরোধ কর্মসূচিতে, যা এ সময়ে বিএনপিকে বিব্রত অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। সক্রিয় করে তুলেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। রাজনৈতিক মাঠে বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পরিবেশে যেন আগুন ঢেলে দেয়া হয়েছে।

 

গত শুক্রবার বিকেলে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর হাই স্কুল মাঠে এক জনসমাবেশে জেলা বিএনপির আহব্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেন বলে আওয়ামী লীগ থেকে অভিযোগ ওঠে। এর প্রতিবাদে গত সোমবার সারা দেশে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ এবং তার ভ্রাতৃপ্রতিম ও সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতাকর্মীরা। হুমকিদাতার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে দায়ের করা হয়েছে একাধিক মামলা।

 

সংবিধানের বাইরে যাবে না আ.লীগ: আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ভোরের আকাশকে বলেন, বিএনপিসহ সব বিরোধী দলের কর্মকান্ড অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে আওয়ামী লীগ। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। বিএনপির অসাংবিধানিক এক দফা দাবি মানতে গেলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে।

 

কিন্তু উচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন। তাই সংবিধান অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনেই হবে আগামী নির্বাচন। এ নিয়ে বিএনপি আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা করলে রাজপথেই তাদের মোকাবিলা করা হবে।

 

হার্ডলাইনে আওয়ামী লীগ: দরজায় কড়া নাড়ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বেড়েই চলেছে রাজনৈতিক উত্তাপ। হার্ডলাইনে চলে এসেছে আওয়ামী লীগ। যেকোনো উপায়ে দখলে রাখবে রাজনৈতিক মাঠ। নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিদিন মাঠে অবস্থান এবং কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে দলটির হাইকমান্ড। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে গত সোমবার সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ।

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সাময়িক আন্তর্জাতিক চাপে রয়েছে আওয়ামী লীগ। কূটনৈতিক চাপের পাশাপাশি সরকার পতন ঘটাতে বিএনপির এক দফা আন্দোলনের ঘোষণায় ক্ষুব্ধ ও উত্তেজিত আওয়ামী লীগ।

 

গত বছরের শেষদিকে শুরু হওয়া বিএনপির আন্দোলনের বিপরীতে এতদিন শান্তি সমাবেশ করে আসছে দলটি। অবশেষে শান্তি সমাবেশকে প্রতিরোধ সমাবেশে রূপ দেয়ার ঘোষণা দিল দলটির হাইকমান্ড।

 

এখন থেকে প্রতিরোধ সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়ে রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেক শান্তি সমাবেশ করেছি। এবার খুনি, অপশক্তির আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতে হবে। তাদের ষড়যন্ত্রের দুর্গ চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেব। বিএনপিকে ইউনিয়ন থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত প্রতিহত করতে হবে।

 

নির্বাচনমুখী আওয়ামী লীগ: বিএনপিকে আন্দোলনের ঘোরে ফেলে দিয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত আওয়ামী লীগ।

 

আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ভোরের আকাশকে বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। দলটির মূল চালিকাশক্তি দেশের জনগণ। নির্বাচনের মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক দেশে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়। আমরাও এই মূলতন্ত্র বিশ্বাসী। দলটির নির্বাচনী প্রস্তুতি অনেক আগেই শুরু হয়েছে। সভানেত্রীর নির্দেশনা পেয়ে জনগণের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। দলীয় মনোনয়ন বাছাইয়ের কাজও এগিয়েছে অনেক দূর।

 

কূটনৈতিক মোকাবিলা: আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেড়েছে বিদেশি শক্তির তৎপরতা। পাওয়া যাচ্ছে বিদেশিদের অযাচিত হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত।

 

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সবসময়ই বিদেশি কূটনৈতিক মোকাবিলায় পারদর্শী আওয়ামী লীগ। দেশের স্বার্থ রক্ষায় বিদেশিদের কড়া জবাব দিতেও দ্বিধা করে না দলটি। তিন দেশ সফর শেষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের স্পষ্ট অবস্থান জানিয়ে তারই প্রমাণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

পর্যবেক্ষক মহল বলছেন, গত কয়েক বছরে নানা ইস্যুতে আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর বৈদেশিক চাপ বেড়ে গিয়েছিল। তবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তা সামাল দিয়ে চলেছে আওয়ামী লীগ। তিক্ততা চরম পর্যায়ে যাওয়ার আগেই দলটি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে। বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর সুনজরে পড়েছে বাংলাদেশ ও বর্তমান সরকার। বাংলাদেশে আগমন ঘটছে বিশ্বের একের পর এক প্রভাবশালী দেশের প্রতিনিধিদের।

 

ভোরের আকাশ/নি