logo
আপডেট : ২৪ মে, ২০২৩ ১৩:২৩
এখনো জমে ওঠেনি আমের হাট বানেশ্বর বাজার
রাজশাহী ব্যুরো

এখনো জমে ওঠেনি আমের হাট বানেশ্বর বাজার

রাজশাহীর সবচেয়ে বড় আমের হাট বানেশ্বর বাজার

বাজারে গোপালভোগ আম এসেছে। তবে এখনো জমে ওঠেনি রাজশাহীর সবচেয়ে বড় আমের হাট বানেশ্বর বাজার। আমের এখন ভরা মৌসুম। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে গোপালভোগ। নামার অপেক্ষায় রয়েছে হিমসাগর, লক্ষণভোগ, ল্যাংড়াসহ বেশ কয়েক জাতের আম। তবে এখনো বাজারে আসছে না চাহিদা অনুযায়ী আম।

 

আড়ৎদাররা বলছেন, পাকা আম না এলেও ঝড়ে পড়া আম দিয়েই এখন চালাচ্ছেন তারা।

 

আর বাজার সমিতি বলছে, কয়েকদনি পরই বাজারে উঠবে হিমসাগর। তখনই জমে উঠবে আমের বাজার।

 

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, রাজশাহীতে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার ওপর দিয়ে দমকা হাওয়া বয়ে গেছে। যার সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ১৮ নটিকেল মাইল। এর আগে গত ১৬ মে ৩০ নটিকেল মাইল গতিতে ঝড় হয়। যা এই মৌসুমের সর্বোচ্চ ঝড়।

 

রাজশাহী বানেশ্বর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে তেমন একটা আম নেই। রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলার বাগান থেকে আম নামানোর পর বিক্রির জন্য আনা হয় বানেশ্বর বাজারে। অন্যান্যবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমের পসরা সাজিয়ে বসেন বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা।

 

তবে এবার দুপুর ১২টা পেরিয়ে গেলেও বাজারে তেমন একটি আম নিয়ে আসতে দেখা যায়নি চাষি ও বাগানিদের। তবে বাজারে ঝড়ে পড়া আম নিয়ে আসতে দেখা গেছে অনেককে। আবার কেউ কেউ দুই এক ঝুড়ি আম নিয়ে আসছেন। সেগুলো দেখামাত্রই আড়াৎদাররা লুফে নিচ্ছেন।

 

রাজশাহীর দুর্গাপুর থেকে আম নিয়ে এসেছেন শহিদুল ইসলাম। বলেন, বিকেলে কিছু আম পেড়ে রেখেছিলাম। আজ সকালে হাটে এসেছি। ২২শ টাকা মণ দরে বিক্রি করে দিয়েছি। বেশ ভালোই দাম পেয়েছি।

 

এই হাটেই ঝড়ে পড়া আম নিয়ে এসেছেন বানেশ্বর এলাকার আব্দুল গফুর।

 

তিনি বলেন, কাল ঝড় হয়েছে। সেই ঝড়ে অনেক আম পড়েছে। এই আমই আজ বিক্রি করতে এসেছি। প্রতি মণ আম ১৭০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। পাড়ায় পাড়ায় ঝড়ে পড়া আম কিনে হাটে বিক্রি করতে এনেছেন শিশির আহম্মেদ।

 

তিনি বলেন, পাড়ায় পাড়ায় ২ টাকা থেকে ৫ টাকা কেজি দরে আম কিনেছি। সেগুলো এখানে এনে ১৭০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। বাজারে অল্প পরিমাণে হলেও পাকা আম এসেছে। গুটি জাতের আম বিক্রি হচ্ছে মানভেদের ১৪শ থেকে ১৮শ টাকা মণ। গোপালভোগ বিক্রি হচ্ছে মানভেদে দুই হাজার থেকে ২৫শ টাকা মণ।

 

রাজশাহীর বানেশ্বর বাজার সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ঝড়ের কারণে অনেকেই পাকা আম পাড়ছেন না দাম কম পাওয়ার ভয়ে। ঝড়ে পড়া আম বাজারে বেশি আসছে। এখানকার আড়ৎদাররা আম নিয়ে ঢাকায় পাঠাচ্ছেন।

 

তিনি বলেন, রাজশাহী আমের বাজার এবার শুরু থেকেই তেমন একটা জমেনি। মূলত ঝড় ও ঝড়ে পড়া আমের কারণেই এটি হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বাজারে উঠবে হিমসাগর, তখনই জমে উঠবে আমের বাজার।

 

ভোরের আকাশ/নি