logo
আপডেট : ২৬ মে, ২০২৩ ১৪:০৯
বন বিভাগের ৪০০ একর জমি বেদখলে
দিনাজপুর প্রতিনিধি

বন বিভাগের ৪০০ একর জমি বেদখলে

দিনাজপুরের চরকাই রেঞ্জের অধীনে ঘোড়াঘাট পিপির কাগজ-কলমে জমির পরিমাণ ৪৫৩.৩৮ একর, যা বর্তমানে সবই বেদখল রয়েছে।

 

জানা গেছে, ১৯৮৫ সালে বন বিভাগ দিনাজপুরের চরকাই রেঞ্জের অধীনে ঘোড়াঘাট পিপির ৪৫৩.৩৮ একর জমির রিজার্ভ সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে, যা পূর্বে পরিবেশে ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ন্ত্রিত হতো। সেটির সঙ্গে বর্তমানে আবার জলবায়ু সংক্রান্ত সংযুক্ত করে এখন পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।

 

দিনাজপুর বন বিভাগের চরকাই রেঞ্জের অধীনে ঘোড়াঘাট পিপির মোট জমির পরিমাণ ৪৫৩.৩৮ একর। এর মধ্যে ঘোড়াঘাট মৌজায় জমির পরিমাণ ৩০১.৪৪ একর। ঘোড়াঘাট উপজেলা ফরেস্ট অফিসার ফসিউল আলম জানান, ঘোড়াঘাট মৌজার সব জমি বেদখলে রয়েছে।

 

এসব জমিতে ইটের বাড়ি, মিল, চাতাল, দোকান ঘর নির্মাণ করে তারা দখলে রয়েছে। এর মধ্যে কিছু চাষাবাদের জমি আছে, যা বন বিভাগের দখলে নেই। অপরদিকে সাহেবগঞ্জ মৌজার বন বিভাগের মোট জমির পরিমাণ ১৫৩.৩৭ একর।

 

এ জমির মধ্যে শুধু বর্তমানে তাদের অফিসসহ অনুমান এক একর জমি দখলে আছে। দখলকৃত জমিতে তাদের গাছপালা সবই রাতে কেটে নিয়ে গেছে। বর্তমানে শুধু অফিসের একটি ভগ্নস্তপ ছাড়া কিছুই নেই।

 

এসব বেদখল জমির বিষয়ে চরকাই রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা নিশাত কান্ত মালাকার জানান, ঘোড়াঘাট পিপি জমা জমি নিয়ে আদালতে প্রায় ২০০টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে কয়েক মামলার নিষ্পত্তি পাবলিকের পক্ষে রয়েছে।

 

তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ঘোড়াঘাট মৌজার অধিক সংখ্যক জমির অবমুক্তি দেয়া রয়েছে। চলিত জরিপে ব্যক্তি মালিকানায় পর্চা হলেও আবার ল্যান্ডস্যুট মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।