রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক দিনাজপুর সদরের পুলহাট মাঝিপাড়া শাখায় কৃষকদের ঋণ দেয়ার ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দফায় দফায় তদন্ত করা হয়েছে। জেলার পুলহাট এলাকার মাঝি পাড়া শাখায় ১৩ জনের নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে ৪১ লাখ টাকা লোনের নামে তুলে লোপাটের তথ্য ওঠে এসেছে।
এ ব্যাপারে ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, ব্যাংকের ওই শাখার ব্যবস্থাপক ঘটনা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনা তদন্তের জন্য ঊর্ধ্বতন পর্যায় থেকে বিজ্ঞপ্তির একটি চিঠিও তিনি পেয়েছেন। সেই চিঠির ওপর ভিত্তি করে ২২ মে ২০২৩ সর্বশেষ তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।
তদন্তে আসা তদন্ত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, তদন্তের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে পরবর্তীতে তদন্তের রিপোর্ট জানানো হবে এবং সেই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঘটনার সূত্রে জানা যায়, বগুড়া নিবাসী কাওসার আলী নামে এক ব্যক্তির দুটি অভিযোগ। একটি অভিযোগ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর, অপরটি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান বরাবর লেখা।
অভিযোগপত্র দুটিতেই উল্লেখ করা হয়, ওই ব্যক্তি দিনাজপুর মাঝিপাড়া সে ব্যাংকের শাখায় একটি হিসাব খুলতে গেলে সেখানে তার নামে আগে থেকেই একটি হিসাব খোলা আছে ও যেখান থেকে লোনও তোলা হয়েছে বলে জানতে পারেন।
অথচ এ ধরনের কোনো ঋণ তিনি নেন নাই বলে অভিযোগ পত্রে দাবি করেন। অভিযোগ পত্রে তিনি মোট ১৩ ব্যক্তির তালিকা সংযুক্ত করেন। যাদের সবার জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ব্যবহার করে জালিয়াতি করে বিএডিসি অফিসের তালিকাভুক্ত কৃষক দেখিয়ে বিভিন্ন নামে ঋণ তোলা হয়েছে অভিযোগ পত্রে।
আর এসব অনিয়মের পেছনে ব্যাংকটির ওই শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজার রহমান ও সাবেক শনাক্তকারী কর্মকর্তা জহুরুল আলমকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযুক্ত পুলহাট মাঝিপাড়া শাখার শনাক্তকারী কর্মকর্তা জহুরুল আলমকে কৃষকদের ঋণ দেয়ার ব্যাপারে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি প্রতিনিধির সাথে কথা বলার অপারগতা প্রকাশ করেন।
ভোরের আকাশ/নি