মানিকগঞ্জের ঘিওরে সুদিনের স্বপ্ন দেখছেন ভালকুটিয়া গ্রামের কৃষক মুন্নাফ মিয়া। তিনি ৩ বিঘা জমির মিষ্টিকুমড়া বিক্রি করেছেন ৭০ হাজার টাকায়। খরচ বাদ দিয়ে তার আয় হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা।
তার মতো উপজেলার আরো দেড় শতাধিক মিষ্টিকুমড়া চাষি এখন সুদিনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। এবার দাম গতবারের তুলনায় কিছুটা কম। তবে ভালো ফলনে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় মিষ্টিকুমড়ার চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা।
মাঠ ঘুরে দেখা যায়, বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের পুরানগ্রাম, পেঁচারকান্দা, ধুলন্ডি চকে দখা গেছে, বাজারজাত করার জন্য ক্ষেত থেকে কুমড়া তুলে স্তূপ করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। চলতি বছর ৪ বিঘা জমিতে মিষ্টিকুমড়ার আবাদ করেছেন বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের পুরানগ্রামের কৃষক পরেশ মন্ডল।
তিনি জানান, মিষ্টিকুমড়া চাষের জন্য জমি তৈরি, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ ও কৃষকদের মজুরিসহ বিঘাপ্রতি খরচ হয় প্রায় ৮ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে ৮০০ থেকে এক হাজার মিষ্টিকুমড়া পাওয়া যায়। যার পাইকারি বাজারদর ৩০ হাজার টাকা। তবে স্থানীয় বাজারে খুচরা বিক্রি করলে প্রায় দ্বিগুণ মুনাফা পাওয়া যায়।
ঢাকার বাজারে মানিকগঞ্জের মিষ্টিকুমড়ার বেশ চাহিদা। জেলার সঙ্গে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থাও বেশ ভালো। গত এক মাসে তিনি প্রচুর মিষ্টিকুমড়া বিক্রি করেছেন। এবার দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম। আকারভেদে প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে ঘিওরে প্রায় ৪১০ হেক্টর জমিতে মিষ্টিকুমড়ার চাষ হয়েছে উপযুক্ত মাটি, ভালো আবহাওয়া আর কৃষকদের সঠিক পরিচর্যার কারণে। এবার ঘিওরে মিষ্টিকুমড়ার ভালো ফলন হয়েছে। সেই সঙ্গে রাজধানীর সঙ্গে ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে সহজেই পাইকারি ক্রেতা মিলছে।
পাইকাররা ক্ষেত থেকেই নগদ টাকায় কুমড়া কিনে নিচ্ছেন। উপজেলার ৭ ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামেই কমবেশি মিষ্টিকুমড়ার চাষ হয়ে থাকে। অল্প সময়, স্বল্প খরচ আর ভালো ফলনে কৃষকরা বেজায় খুশি। বেকার যুবকরাও চুক্তিভিত্তিক জমি নিয়ে কুমড়া চাষে ঝুঁকছেন।
কৃষি অফিস থেকে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
ভোরের আকাশ/নি