মো. মাইনুল হক, নীলফামারী: বৃষ্টি নেই, বন্যা নেই তবুও রাস্তায় হাঁটু পানি। বাসাবাড়ির ব্যবহৃত পানিতেই দিনের পর দিন তলিয়ে থাকছে গুরুত্বপূর্ণ এলাকার সড়ক। কোথাও কোথাও রাস্তা পেরিয়ে বাড়ির আঙ্গিনা ও ঘরেও প্রবেশ করেছে ড্রেনের ময়লা পানি। ড্রেনেজ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ায় এবং নিয়মিত পরিষ্কার না করায় স্থায়ী রূপ নিয়েছে এই জটিলতা। হেঁটে চলাচল তো দূরের কথা, যানবাহনেও যাতায়াত দূরূহ হয়ে পড়েছে। শিশুরা স্কুলে আর মুসল্লিরা মসজিদে যেতে পারছে না। তার ওপর দীর্ঘদিন থেকে জমে থাকা এই নোংরা ময়লাযুক্ত পানিতে গ্রীষ্মের তীব্র রোদ পড়ে পচে উৎকট দুর্গন্ধ ছড়িয়ে চারপাশের পরিবেশে চরম দূষণ ঘটিয়েছে। এর ফলে অবর্ণনীয় ও অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছে পৌরবাসী।
এমন বেহাল পরিস্থিতি বিরাজ করছে নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভায়। প্রথম শ্রেণির পৌরসভার নাগরিকরা আজ তৃতীয় শ্রেণির সেবা থেকেও বঞ্চিত হওয়ায় এই দশায় নিপতিত হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এ অবস্থায় থাকলেও পৌর পরিষদ জনদুর্ভোগ লাঘবে কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় ক্রমেই তা বেড়ে চলেছে। এলাকাবাসী বারবার দাবি ও ক্ষোভ জানালেও কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই কর্তৃপক্ষের। গত তিন বছরে এ সমস্যা আরো প্রকট হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শহরের ৯নং ওয়ার্ডের হাতিখানা এলাকার ক্যাম্পের সামনের রাস্তার পুরোটাজুড়ে পানি। কোনো কোনো বাড়ির আঙিনাও পানিমগ্ন। ছাত্র-ছাত্রী ও লোকজন তার মধ্যেই যাতায়াত করছে বাধ্য হয়ে। শিশু ও বৃদ্ধরা চলাচল করতে পারছে না। অসুস্থদের হাসপাতালে নেয়া খুবই অসুবিধা।
একই অবস্থা ১৩নং ওয়ার্ডের বাঁশবাড়ী শহীদ নুর মুহাম্মদ সড়ক, ১২নং ওয়ার্ডের নতুন বাবুপাড়ায় খ্রিস্টানপাড়ার ভেতর দিয়ে মন্ডল ভবন হয়ে ইত্তেহাদুল মুসলেমিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গামী সড়ক, ১৫নং ওয়ার্ডের মিস্ত্রীপাড়া মোড় থেকে বসুননিয়াপাড়া মোড় পর্যন্ত সড়ক, ৫নং ওয়ার্ডের মুন্সিপাড়া এলাকার রেলওয়ে কলোনির ও ২নং ওয়ার্ডের রেলওয়ে কলোনির সড়কগুলোসহ পুরো পৌর এলাকায় বেশকিছু রাস্তায়।
এলাকাবাসী জানায়, এই সড়কগুলোর সাথে ড্রেন থাকলেও তা পানি নিঃসরণের অনুপযোগী। ময়লা আবর্জনায় ভরাট হয়ে পড়ায় ও দীর্ঘদিনেও পরিষ্কার না করায় পানি নির্গমনের ডোবা বা ভাগারগুলো তো যেতে পারছে না। কোথাও আবার ড্রেনের শেষপ্রান্তে, এ বিষয়ে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়রের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভোরের আকাশ/আসা