logo
আপডেট : ৩০ মে, ২০২৩ ১৮:০৬
পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতি, দুর্ভোগে ৫ গ্রামের মানুষ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতি, দুর্ভোগে ৫ গ্রামের মানুষ

সাতড়্গীরায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই প্রকল্পের কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি

সাতক্ষীরায় কাজের মেয়াদ শেষ হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পওর-২) গাফিলতিতে দুর্ভোগে রয়েছে কমপক্ষে ৫ গ্রামের মানুষ। এ ছাড়া ওই এলাকায় অবস্থিত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো আছে চরম সংকটে।

 

সূত্র জানায়, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-২ এর পোল্ডার নং- ১, ২, ৬-৮ এ সম্প্রসারণ নিষ্কাশন ব্যবহার উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাধ পুনঃআকৃতিকরণ কাজের শুরু হয় ২০২২ সালের ৫ জুলাই এবং কাজ শেষ হওয়ার কথা চলতি বছরের ২৭ মে।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট বিভাগের তত্ত্বাবধায়নে কাজ করলেও পোল্ডারের রাজনগর থেকে বিনেরপোতা অভিমুখে ১০০ মিটারের কাজ অসম্পন্ন রাখা হয়েছে। যেখানে রাস্তাটি এ ১০০ মিটারে কাদা থাকায় পুরোপুরি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যে কারণে বিনেরপোতা, খেজুরডাঙ্গার, রাজনগর, শিবনগরসহ কয়েক গ্রামের মানুষের চলাচলে ব্যবহার করতে হচ্ছে বিকল্প রাস্তা। আর এ এলাকায় বসবাস করা সাধারণ মানুষেরা বর্তমানে সরকারের উন্নয়ন কাজে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পওর-২) গাফিলতি ও বিভিন্ন অনিয়মে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

 

এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসও, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি কাটা, বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে উঠেছে।
অন্যদিকে, সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনের গণশুনানিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করেন দুই ব্যক্তি। যার একটিতে স্থান পায় বাঁধ নির্মাণ কাজে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়টি। দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক ইতিমধ্যে বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।

 

এ ব্যাপারে ঠিকাদার প্রতিনিধি আবু সালেহ বলেন, কাজ কিছু বাকি থাকতে পারে। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিক করে দেব। অনেক বিপদে ছিলাম কাজটা নিয়ে। এলাকার কেউ সহযোগিতা করেনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসও, এসডি স্যার কাজ পরিদর্শন করেছেন।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পওর-২) সংশ্লিষ্ট এসও জিয়াউর রহমান অভিযোগের বিষয়গুলো অস্বীকার করে বলেন, কিছু ত্রুটি থাকতে পারে দ্রুত সমাধান হবে।
এলাকাবাসী এ অবস্থার প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

ভোরের আকাশ/মি