logo
আপডেট : ১২ জুন, ২০২৩ ১০:৫৩
সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের উন্নয়ন
রাজশাহী নগরীতে ৪৩ গোরস্থানসহ নির্মিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা
অজয় ঘোষ, রাজশাহী

রাজশাহী নগরীতে ৪৩ গোরস্থানসহ নির্মিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা

সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের মেয়াদকালে রাজশাহী মহানগরীতে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের মেয়াদকালে রাজশাহী মহানগরীর কবরস্থান ও ঈদগাহগুলো পেয়েছে নতুন রূপ। রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নগরীর ৪৩টি গোরস্থান ও ২৮টি ঈদগাহের উন্নয়ন করা হয়েছে। গোরস্থানগুলোর মাটিভরাট, দৃষ্টিনন্দন ফটক, সীমানা প্রাচীর, জানাজা সেড, ওজুখানা ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। আর ঈদগাহের মাটি ভরাট, দৃষ্টিনন্দন ফটক, মেহরাব, বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে।

 

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর-ইসলাম তুষার বলেন, সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের দিক-নির্দেশনায় ও পরিকল্পনায় রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় একযোগে নগরীর ৪৩টি গোরস্থান ও ২৮টি ঈদগাহের উন্নয়ন করা হয়েছে। বড় ঈদগাহগুলো ইসলামিক স্থাপত্যশৈলীতে দৃষ্টিনন্দনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। রাজশাহী কেন্দ্রীয় ঈদগাহের কাজও চলছে।

 

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগের তথ্যমতে, রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪৩টি গোরস্থানের ৭ কোটি ৫৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ব্যয়ে মাটি ভরাট, ১২ কোটি ৩৪ হাজার ৬১ হাজার টাকা ব্যয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, ৯ কোটি ৩০ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ, ২ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে জানাজা সেড ও ওজুখানা নির্মাণ করা হয়েছে।

 

একই মপ্রকল্পের আওতায় ২৮টি ঈদগাহের ২ কোটি ১৬ লাখ ২২ হাজার টাকা ব্যয়ে মাটি ভরাট ও ৩ কোটি ৯৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ব্যয়ে সীমানা প্রচীর নির্মাণ করা হয়েছে রাজশাহী মহানগরীর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে মাটি ভরাট কাজ শেষ হয়েছে। এখন প্রধান ফটক, মেহেরাব, সীমানাপ্রাচীর ইত্যাদি কাজ চলমান আছে।

 

নগরীর টিকাপাড়া, গৌরহাঙ্গা, হেতম খাঁ ও বাদুরতলা মোট ৪টি গোরস্থানের মাটি ভরাটের কাজ চলছে। কাজের অগ্রগতি ৯৩ শতাংশ। বিসিক শিল্প নগরী, হড়গ্রাম, সপুরা হাজি মনিরুদ্দিন, সপুরা-১, সপুরা-২, দড়িখরবোনা গোরস্থানসহ মোট ৬টি গোরস্থান ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে। ১৮, ২০, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯ ও ৩০নং ওয়ার্ডে মোট ১৬টি গোরস্থানের মধ্যে ২৮ ও ২৯ নং ওয়ার্ডে মোট ৪টি সীমানা প্রাচীর ও গেট নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।

 

চকপাড়া, খোজাপুর, ডাশমাড়ী, কয়েরদাড়া পুরাতন মসজিদ সংলগ্ন, কয়েরদাড়া চমৎকার মন্ডল, কয়েরদাড়া খ্রিস্টানপাড়া, মাতবর সালেহিন, মেহেরচন্ডী উত্তর ও দক্ষিনপাড়াসহ মোট ৯টি গোরস্থান মাটি ভরাটের কাজ শেষ পর্যায়ে। ১৮, ২০, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯ ও ৩০নং ওয়ার্ডে মোট ১৬টি গোরস্থানের মধ্যে ২৬নং ওয়ার্ডে মোট ৩টি সীমানা প্রাচীর ও গেট নির্মাণ করা হয়েছে। ১৮, ২০, ২৭ নং ওয়ার্ডে ৩টি সীমানা প্রাচীর ও গেট নির্মাণ শেষ পর্যায়ে।

 

১, ৪, ২৩, ২৪ ও ২৭নং ওয়ার্ডে মোট ৬টি ঈদগাহ এর সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ চলছে। কাজের অগ্রগতি ৫০ শতাংশ। ১৩, ১৫ ও ১৬নং ওয়ার্ডে মোট ৮টি ঈদগাহ এর সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ চলছে। কাজের অগ্রগতি ৪০ শতাংশ। ২৬, ২৯ ও ৩০নং ওয়ার্ডে মোট ৮টি ঈদগাহ এরসীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ১৬নং ওয়ার্ডের মোট ৬টি গোরস্থানের অভ্যন্তরে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ৪০ শতাংশ।

 

৫, ১১, ১৩, ১৪ এবং ১৫নং ওয়ার্ডের মোট ৬টি গোরস্থানের অভ্যন্তরে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ৭৫ শতাংশ। ১৭নং ওয়ার্ডের মোট ১৬টি গোরস্থানের অভ্যন্তরে ওয়াকওয়ে নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ১৮, ২০, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯ ও ৩০নং ওয়ার্ডেও মোট ১৫টি গোরস্থানের অভ্যন্তরে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ৩৫ শতাংশ। পাঠানপাড়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ এবং হরিজন পল্লী মোট ২টি জলাশয়ের প্রতিরক্ষামূলক সীমানা প্রাচীর, সৌন্দর্য বর্ধণমূলক বেঞ্চ ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ চলছে।

 

২, ৩, ৫, ১৬নং ওয়ার্ডের মোট ৮টি গোরস্থানের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শেষ হয়েছে। ১৩, ১৪, ১৫ ও ১৭নং ওয়ার্ডের মোট ৭টি গোরস্থানের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ। ১৭ নং ওয়ার্ডের ১২ টি গোরস্থানের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ৮০ শতাংশ। মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে ১৮টি ঈদগাহ; লেবার অফিস ও ২টি অন্য অবকাঠামোতে মাটি ভরাট কাজ শেষ হয়েছে।

 

বিভিন্ন গোরস্থানে ৮টি জানাজা সেড ও ১৪টি ওজুখানা নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। মহানগরীর বিভিন্ন গোরস্থানে ৭টি জানাজা সেড ও ১৪টি ওজুখানা নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ৫০শতাংশ।

 

ভোরের আকাশ/নি