logo
আপডেট : ১৪ জুন, ২০২৩ ১১:৪৯
ঈদে এবারো হাট কাঁপাবে ত্রিশালের ‘কালো মানিক’
জাহাঙ্গীর আলম, ময়মনসিংহ

ঈদে এবারো হাট কাঁপাবে ত্রিশালের ‘কালো মানিক’

ময়মনসিংহের ত্রিশালের কালো মানিক

কোরবানির ঈদে সবার দৃষ্টি থাকে গরুর দিকে। এবারের কোরবানির ঈদেও আলোচিত সেই গত বছরের হাট কাঁপানো কালো মানিক ষাঁড়টি।

 

কালো মানিকের মালিকের দাবি, ২২০০ কেজি ওজনের এ ষাঁড়টি এবার দেশ সেরা। ময়মনসিংহের ত্রিশালের ধানিখোলা দক্ষিণ ভাটিপাড়া গ্রামের আলোচিত কালো মানিক। দাম হাঁকা হচ্ছে ৪০ লাখ টাকা।

 

তবে ভালো কাস্টমার পেলে আলোচনা সাপেক্ষে বিক্রির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। এবার ঈদেও হাট কাঁপাবে ত্রিশালের ‘কালো মানিক’, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। গত কোরবানির ঈদে কালো মানিকের দাম হয়েছিল ২০ লাখ টাকা। গত তিন বছর ধরে ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় বিক্রি হয়নি কালো মানিক। তাই কালো মানিকের মালিক জাকির হোসেন সুমন আরো এক বছর লালন-পালন করে এ কোরবানির ঈদে ২২০০ কেজি ওজনের কালো মানিকের দাম হাঁকাচ্ছেন ৪০ লাখ টাকা। মালিকের দাবি ময়মনসিংহ অঞ্চলেসহ সারা দেশে সবচেয়ে বড় গরু তার এ কালো মানিক।

 

জানা যায়, ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় কালো মানিক। গত ৬ বছর ধরে লালন-পালন করে আসছেন উপজেলার ধানিখোলা ইউনিয়নের খামারি জাকির হোসেন সুমন। ষাঁড়টি শান্ত প্রকৃতির ও কালো রঙের হওয়ায় আদর করে এর নাম রাখা হয়েছে কালো মানিক। কালো মানিকের নাম আশপাশের এলাকাসহ সবার মুখে মুখে। বিশাল আকারের কালো মানিককে দেখতে ক্রেতাসহ সাধারণ মানুষতো বটেই দুর-দূরান্ত থেকেও নানা বয়সের মানুষ প্রতিদিন জাকিরের বাড়িতে ভিড় জমান। দেখতে আসা অনেকেই এটিকে হাতির সঙ্গে তুলনা করছেন।

 

কালো মানিকের মালিক জাকির হোসেন সুমন জানান, অনেক শখ করে গত ৬ বছর ধরে এ ষাঁড়টিকে আমি দেশীয় খাবার খাইয়ে যত্ন আর ভালোবাসা দিয়ে বড় করেছি। খাবার হিসেবে প্রতিদিন ২ হাজার টাকা খরচ হয়। কৃত্রিম কোনো কিছু খাওয়ানো হয় না।

 

প্রাকৃতিক ওপায়ে খৈল, ভুষি, ভুট্টা, কলা, ভাত, খড়-ঘাস খাইয়েছি। শখ করে গরুটিকে পালন করেছি। আমি নিজের চেয়েও বেশি গরুর যত্ন করি। গত কয়েক বছর ধরে ভালো দাম না পওয়ায় কালো মানিককে বিক্রি করতে পারি নাই। তবে এ বছর আশা করছি ভালো দামে গরুটি বিক্রি করতে পারব।

 

উপজেলা প্রাণী সম্পদ ও ভেটেনারি হাসপাতালের কর্মকর্তা তানজিলা ফেরদৌসি লিমা জানান, এ উপজেলায় কালো মানিক সবচেয়ে বড় ষাঁড়। এটি ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড়। গত ৬ বছর ধরে খামারি এটি প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে লালন-পালন করছে।

 

কোনো কৃত্রিম রাসায়নিক ব্যবহার করে নাই। আমরা আশা করছি ষাঁড়টির মালিক ভালো মূল্য পাবেন।

 

ভোরের আকাশ/নি