কোরবানির হাট মাতাতে প্রস্তুত মানিকগঞ্জের ৩৮ মণ ওজনের সম্রাট। ষাঁড়টির দাম চাওয়া হচ্ছে ২০ লাখ টাকা। খামারির দাবি, এটি জেলার সবচেয়ে বড় ষাঁড়। ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন এলাকাবাসী।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার অরঙ্গবাদ গ্রামের কৃষক হামিদুল হক কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি লালনপালন করেছেন। ভালোবেসে তিন বছর বয়সি ষাঁড়টির নাম দিয়েছেন মানিকগঞ্জের সম্রাট। ষাঁড়টি বিক্রির জন্য ২০ লাখ টাকা দাম হাঁকাচ্ছেন হামিদুল।
হামিদুল হক জানান, তিন বছর আগে একটি গাভিসহ দুই মাস বয়সি সম্রাটকে দুই লাখ টাকা দিয়ে কেনেন। তারপর থেকে সন্তানের মতো সম্রাটকে লালন করছেন। বর্তমানে ১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬ ফুট প্রস্থের সম্রাটের ওজন ৩৮ মণ। সম্রাটের খাবার তালিকায় নেই কোনো রাসায়নিক খাবার। শুধু সবুজ ঘাস আর কুড়া ভুসি খাইয়ে সম্রাটকে বড় করেছেন তিনি।
এ ছাড়া তার খামারে ১৭ মণের আরো একটি সাদা রঙের গরু রয়েছে।
হামিদুল আরো জানান, চার বেলা শ্যাম্পু দিয়ে সম্রাটকে গোসল করানো হয়। সম্রাটকে বাতাস করা হয় বড় একটি ফ্যান দিয়ে। তিন বছরে সম্রাটের পেছনে খরচ হয়েছে ৫-৬ লাখ টাকা। সম্রাটকে একনজর দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমায় বিভিন্ন এলাকার মানুষ। এ বছর সম্রাটই জেলার সবচেয়ে বড় ষাঁড় বলে দাবি খামারির।
হামিদুল হকের ছেলে হাফিজ আল আসাদ বলেন, ‘সৌদি আরব থেকে দেশে আসার পর বাবার সঙ্গে সম্রাটকে লালনপালনে সহায়তা করছি।’ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আজিজুল হকের প্রত্যাশা, খামারি যেন ন্যায্য দামে ষাঁড়টিকে বিক্রি করতে পারেন।
ভোরের আকাশ/নি