লক্ষীপুরে ১০ তলা ভবনের মূল ফটক ভেঙে দোকানঘর নির্মাণ করে ৩০টি পরিবারকে জিম্মি করে রাখার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
শনিবার দুপুর ১২টায় সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দেওপাড়া এলাকার সাফওয়ান টাওয়ারে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন এ আয়োজন করেন।
আবদুর রহমান আরজু নামে এক ব্যক্তির কাছে ওই পরিবারগুলো জিম্মি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ফ্ল্যাট মালিক প্রবাসী দেলোয়ার হোসেন নাদিম, ইকবাল হোসেন, মো. সোহাগ, মানিক হোসেন, শিক্ষক লোকেশ্বর দাস, ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান, আমেনা বেগম বক্তব্য দেন।
ভুক্তভোগীরা জানায়, শামছুল আলম নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে সাফওয়ান টাওয়ারে (৩০)টি পরিবার ফ্ল্যাট কিনেছেন। এতে নিয়মানুযায়ী নিচতলা পার্কিং ও চলাচলের জন্য উন্মুক্ত থাকার কথা রয়েছে। কিন্তু আবদুর রহমান আরজু নামে এক ব্যাক্তি ভবনের নিচতলার মূল ফটক ভেঙে দোকানঘর নির্মাণ করেছেন। সেখানে তিনি সিমেন্টের ব্যবসা করে আসছেন।
তার কারণেই ৩০টি পরিবার এখন জিম্মি হয়ে পড়েছে। ফ্ল্যাটে উঠতে পারছেন না ভুক্তভোগীরা। মই ব্যবহার করে তাদের ফ্ল্যাটে উঠতে হয়। এ জিম্মি দশা থেকে বাঁচতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এদিকে এর প্রতিবাদ করলে আরজু তার লোকজন দিয়ে ফ্ল্যাট মালিক সৌদিপ্রবাসী নাদিমকে মারধর করে। এ ঘটনায় চন্দ্রগঞ্জ থানায় নাদিমের করা মামলায় আরজু কয়েকদিন জেল খেটেছেন। পরে তিনি জামিনে মুক্ত হন।
অভিযুক্ত আবদুর রহমান আরজু বলেন, আমি নিচতলার একাংশ মালিকের কাছ থেকে কিনে নিয়েছি। সেই সূত্রে আমি দোকানঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছি। আমি দোকান সরাব না। আমার দোকানের পশ্চিম পাশের অংশ হচ্ছে ফ্ল্যাট মালিকদের চলাচলের পথ। ওই অংশ উন্মুক্ত না করে সবাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে এ সংবাদ সম্মেলন করেছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি তহিদুল ইসলাম বলেন, নাদিমের মামলায় আরজুকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে তিনি জামিনে বের হয়েছেন। এরপর থেকে তিনি পুলিশকে দোষারোপ করে বিভিন্ন মাধ্যমে লেখালেখি করছেন।
দু-একজনের কারণে ৩০টি পরিবার জিম্মি হয়ে রয়েছে। এ ঘটনাটি তদন্ত চলমান।
ভোরের আকাশ/নি