logo
আপডেট : ১৯ জুন, ২০২৩ ১১:৩৪
খালের ওপর নির্মিত ব্রিজ এখন মরণ ফাঁদ
বোরহানউদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি

খালের ওপর নির্মিত ব্রিজ এখন মরণ ফাঁদ

ভোলার লালমোহনে চতলা খালের ওপর নির্মিত ব্রিজে গর্ত তৈরি হয়েছে, ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে যানবাহন

ভোলার লালমোহন উপজেলা সদর থেকে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নে যাতায়াতের প্রধান সড়কের ওপর নির্মিত চতলাবাজারের উত্তর পাশে চতলা খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটির দুপাশের রেলিং ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কয়েক বছর ধরেই ব্রিজটির এই বেহাল দশা।

 

ব্রিজটির মাঝখানে ভেঙে গিয়ে বিশাল গর্তে পরিণত হয়েছে। ইট ও ঢালাই খসে পড়ে ভেঙে যাওয়া ব্রিজের রডের ফাঁক দিয়ে নিচে খালের পানি দেখা যাচ্ছে। ব্রিজটি এখন জনসাধারণের জন্য মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ঘটছে প্রতিনিয়তই ছোট বড় দুর্ঘটনা। যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এতে প্রাণহানির আশঙ্কা করেছেন অনেকে।

 

ব্রিজটির ওপর দিয়ে চলাচলের জন্য গাছ, কাঠ ও তক্তা দিয়ে জোড়া তালির মাধ্যমে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে স্থানীয়রা। বর্তমানে কাঠ ও তক্তা ভেঙে গেছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীবাহী ও মালবাহী যানবাহনের চালকদের। ভাঙা ব্রিজটির ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে রিকশা, ভ্যান, অটো ও মোটরসাইকেল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে ব্রিজটির ওপর দিয়ে।

 

স্থানীয় বাসিন্দা ও বাজারের ব্যবসায়ী মো. নিরব মহাজন, মাওলানা মো. মোসলেহউদ্দীন ও আনিচল হক মিয়া বলেন, উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল ও যানবাহন যাতায়াত করে এ সড়ক দিয়ে। ব্রিজটি ভাঙার কারণে যানবাহন আসা-যাওয়া করতে পারে না। দীর্ঘদিন ব্রিজটি ভেঙে রয়েছে দেখার যেন কেউ নেই। সফিজল ও বজলুর রহমান নামের ২ জন ব্যক্তি বলেন প্রতিদিন এই ব্রিজটি দিয়ে কয়েকশত মানুষ ও যাত্রীবাহী গাড়ি আসা যাওয়া করে। ব্রিজটি পুনর্নির্মাণ করা জরুরি।

 

স্থানীয় মাসুদ মিয়া বলেন, চরম ঝুঁকি নিয়ে আসা যাওয়ার পথে ব্রিজটি ভাঙার কারণে অনেক মানুষ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছেন। আমি নিজেও ভাঙা যায়গায় পরে মারাত্মক আহত হয়েছি। গিয়াস উদ্দিন রাসেল বলেন, এ ব্রিজটি যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচলের একমাত্র মাধ্যম।

 

প্রতিদিন শতশত মানুষ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা এখান দিয়ে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে আসে এবং যায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বড় কোনো দুর্ঘটনা না ঘটার আগেই ব্রিজটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করার দাবি জানাচ্ছি কর্তৃপক্ষের নিকট।

 

এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা প্রকৌশলী রাজীব সাহা বলেন, ব্রিজটি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। এই ব্রিজটি ছাড়াও উপজেলায় মোট ১২টি ব্রিজ সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করা হবে।

 

ভোরের আকাশ/নি