logo
আপডেট : ২০ জুন, ২০২৩ ১৪:২০
চরফ্যাশন থানার ওসির বিরুদ্ধে এসপির কাছে অভিযোগ
চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

চরফ্যাশন থানার ওসির বিরুদ্ধে এসপির কাছে অভিযোগ

জমা-জমির ভোগদখল সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুলিশি হয়রানির প্রতিকার চেয়ে জনৈক মো. হযরত আলী (ছিডু) কর্তৃক চরফ্যাশন থানার ওসি ও তার সঙ্গীয় এসআই মো. শামীম হাসানের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপার, ভোলার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

 

গত ১৫ জুন-২০২৩ ভূমি মালিক নুর মিয়া ফকিরের পক্ষে তার ছেলের দায়ের করা অভিযোগটি আমলে নিয়ে তার দাপ্তরিক ৯২২/পিআর ও স্মারকে ঘটনাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, চরফ্যাশন সার্কেল মো. সাব্বির হোসেনকে নির্দ্দেশ দেন।

 

অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, উপজেলার চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের অন্তর্গত চর আফজাল ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুর মিয়া ফকিরের নামীয় ৮৩৪নং খতিয়ানের ২৮৫০/২৮৫৫ নং দাগে সাড়ে ৪ গন্ডা জমি একই বাড়ীর ভাতিজা সম্পর্কের জনৈক আ. রহিম ও মো. জসিম উভয় পিতা আ. মন্নান খরিদ করার কথা বার্তা সিদ্ধান্ত করে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে বয়োঃবৃদ্ধ দাতা নুর মিয়া ফকিরের সরলতার সুযোগে ২৮৫০/২৮৫৫ নং দাগের পরিবর্তে ২৮৪৮ নং দাগ বসায়ে দলিল রেজিস্ট্রি করান।

 

পরবর্তীতে গ্রহিতা আ. রহিম ও মো. জসিম দীর্ঘ ৫ বছর ২৮৫০/২৮৫৫ নং দাগে ভোগ দখলের পরে এখন ২৮৪৮ নং দাগের জমি দখল করার ঘোষণা দেন এবং অপতৎপরতা চালান। তখন দাতার ছেলে মো. হযরত আলী (ছিডু) খরিদা মালিক আ. রহিম ও মো. জসিমসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে এজাহার বিষয়ে চরফ্যাশন থানায় একটি অভিযোগ দিলে জায়গা জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে থানায় মামলা হবে না বলে ওসি মুরাদ জানান।

 

তারপর স্থানীয় বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার চরফ্যাশন উপজেলা শাখার আইনি সহায়তায় মোকাম চরফ্যাশন সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে জনৈক মো. হযরত আলী বাদী হয়ে এবং গ্রহিতা আ. রহিম ও মো. জসিমসহ ৩ জনকে বিবাদী করে সৃষ্ট ৩১.০৭.১৮ তারিখের ৪১৮২ নং সাফ কবলা দলিলখানা ভুয়া ও অকার্যকর বলে গণ্যে উহা বাদীপক্ষের, প্রতি বাধ্যকর না থাকা মর্মে ঘোষনা মূলক ডিক্রির দাবিতে দেঃ নং-৩৯০/২৩ রুজু করেন। বিজ্ঞ আদালত উহার শুনানি শেষে বিবাদীগণের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারির আদেশ দেন।

 

এরমধ্যে বিবাদী আ. রহিম বাদী হয়ে মো. হযরত আলী (ছিডু) গংদের বিরুদ্ধে চরফ্যাশন থানায় একটি দরখাস্ত দিলে ওসি মুরাদ হোসেন তার সঙ্গী এসআই মো. শামীম হাসানকে হযরত আলী গংদের বাড়িতে পাঠান এবং তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে মর্মে গ্রেপ্তারের ভয়ভীতি দেখান। তখন হযরত আলী তার ভগ্নিপতি সহকারে থানায় আসেন এবং আদালতের মামলার নিষেধাজ্ঞার কপি দেখান।

 

কিন্তু ওসি মুরাদ হোসেন গত ১৪.০৬.২৩ সকাল ও তার আগে ১২.০৬.২০২৩ দুপুরে হযরত আলীর বাড়িতে সোহেল, খলিল, রহিম, জসিম, জোৎস্না ও মন্নান গংদের সাথে নিয়ে এসআই শামীমের নেতৃত্বে হামলা করেন এবং গ্রেপ্তারের ঘোষণা দেন। সেই সঙ্গে অশালীন ভাষায় গালমন্দসহ অবমাননাকর আচরণ দেখান। তারই প্রতিবাদে গত ১৫.০৬.২০২৩ তারিখে চরফ্যাশন থানার ওসি এবং তার সঙ্গীয় এসআই মো. শামীমের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপার, ভোলার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

 

পুলিশ সুপার বিষয়টি আমলে নিয়ে ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, চরফ্যাশন সার্কেলকে নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে চরফ্যাশন সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. সাব্বির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগটি হাতে আসলে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

 

এ ব্যাপারে ওসি মুরাদের সরকারি মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ফোনটি রিসিভ না হওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

 

ভোরের আকাশ/নি