ঢাকার আশুলিয়ায় স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর সন্তান নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। দাম্পত্য কলহের জেরেই এ হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে আশুলিয়ার গাজীরচট নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিমু আক্তার (২১) গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার মোগন্দপুর গ্রামের নয়া মিয়া ব্যাপারীর মেয়ে। তার পলাতক স্বামী ফারুক হোসেন একই গ্রামের তৈবর মিয়ার ছেলে। তারা দুজনেই আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার ডেকো লিগেসি গ্রুপের আগামী অ্যাপারেলস লিমিটেড পোশাক কারখানার শ্রমিক।
নিহতের বড় বোন লাভলী আক্তার বলেন, নয়াপাড়া এলাকার পাঁচ তলার একটি ভাড়া বাসায় বোন শিমু তার স্বামী ফারুক ও ৪ বছরের ছেলে সিয়ামকে নিয়ে বসবাস করতেন। ভোরে গার্মেন্টসে যাওয়ার সময় শিমুকে ডাকতে গেলে তার ফ্ল্যাটের দরজা বাইরে থেকে আটকানো অবস্থায় পাওয়া যায়।
পরে ভেতরে প্রবেশ করতেই বাথরুমে শিমুর রক্তাক্ত গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
লাভলী আরো বলেন, ঘটনার পর থেকে তার স্বামী ও সন্তানকে পাওয়া যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে হত্যার পর ফারুক তার সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
আশুলিয়া থানার এসআই আবুল হাসান বলেন, দাম্পত্য কলহের জেরেই স্ত্রীকে হত্যার পর তার স্বামী ছেলেকে নিয়ে পালিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আছে।
এসআই হাসান আরো বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতির পাশাপাশি পলাতক স্বামীকে আটকের চেষ্টা চলছে।
ভোরের আকাশ/নি