জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় অসময়ে যমুনা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মধ্যে।
এলাকাবাসী জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উপজেলার চরআমখাওয়া ইউনিয়নের পাটধোয়া পাড়া থেকে সানন্দবাড়ি পশ্চিম পাড়া পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে এ ভাঙন। তবে ভাঙনরোধে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে মসজিদ, মাদ্রাসাসহ ৫০টিরও অধিক বসতবাড়িসহ ফসলি জমি। হুমকির মুখে রয়েছে সানন্দবাড়ি কলেজ, সানারচর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সানন্দবাড়ি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, সানন্দবাড়ি ভূমি অফিস, সানন্দবাড়ি পোস্ট অফিস, সানন্দবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সানন্দবাড়ি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মৌলভীরচর উচ্চ বিদ্যালয়, মৌলভীরচর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সানন্দবাড়ি বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অথেনটিক সেন্ট্রাল স্কুল, সানন্দবাড়ী টেকনিক্যাল স্কুল, কোটি টাকার উপরে ডাক সানন্দবাড়ি বাজার ও অন্যান্য স্থাপনাসহ অন্তত ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পাটাধোয়া পাড়া গ্রামের সানোয়ার হোসেন বলেন, ৫০ বছরে বৈশাখ মাসে নদী ভাঙে এমন দৃশ্য কোনোদিন দেখিনি। আমার বাড়ির একাংশ নদীতে বিলীন হয়েছে। পাউবো যদি বাঁধ দিত তবুও আমরা বাড়ির বাকি অংশে বসবাস করতে পারতাম। এখন তো মনে হচ্ছে, পরিবার-পরিজন নিয়ে অন্যত্র চলে যেতে হবে। কিন্তু জায়গা-জমি তো আর নেই, কোথায় যাব। খুবই চিন্তার মধ্যে আছি।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ভাঙন স্থানগুলোতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প জমা দেয়া হয়েছে। সেটি অনুমোদন হলে নির্মাণকাজ শুরু হবে। বর্তমানে ভাঙনরোধে অস্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
ভোরের আকাশ/নি