টাঙ্গাইলের মধুপুরে ঠক ঠক শব্দেই যেন জানান দিচ্ছে আর কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস সাইজ করতে যেমন ছুরি, চাপাতি, দা-বঁটি প্রয়োজন।
সেগুলো সংগ্রহ ও প্রস্তুত করে রাখতে এখন সবাই ব্যস্ত। আর এদিকে মাংসের পাশাপাশি হাড় কাটার জন্য যেমন কাঠের গুঁড়ি বা খাইটা দরকার সেসব খাইটা বানাতে ব্যস্ত মধুপুরের কুড়ালিয়া বাজারের খাইটা ব্যবসায়ীরা।
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জমে উঠেছে এ শিল্প। এসব কাঠের গুঁড়ি বা খাইটা বানিয়ে সাজিয়ে রাখা হয়েছে দোকানের সামনে। আর এসব কাঠের তৈরি খাইটা বানাতে শরীর থেকে ঝরছে অবিরাম ঘাম। চোখেমুখে প্রচন্ড ক্লান্তির ছাপ, তবুও থেমে নেই তারা। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি চলছে ব্যস্ততা।
উপজেলার বানিয়াবাড়ী গ্রামের খাইটা ব্যবসায়ী মজিবর রহমান জানান, আমি ২৩ বছর যাবত কোরবানির ঈদে মাংস কাটার পাশাপাশি হাড় কাটার জন্য এ ব্যবসা করে আসছি। প্রতি ঈদকে সামনে রেখে আমরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে তেঁতুল গাছ কিনে আমরা এসব খাইটা বানিয়ে থাকি। প্রতিটি খাইটা তৈরি করা পর্যস্ত আমাদের দুই তিনশ টাকা খরচ পড়ে।
আর আমরা এসব খাইটা প্রকার ভেদে চার, পাঁচশ টাকা করে বিক্রি করে থাকি। পাইকারি দোকানদার ও খুচরা ক্রেতাদের কাছে এই সময়ে আমাদের কদর বেশ ভালোই থাকে। তবে এখন তেঁতুল কাঠ না থাকায় আগের তুলনায় চাহিদা মোতাবেক আমরা কাঠের গুঁড়ি খাইটা তৈরি করতে পারছি না।
আগের তুলনায় সব জিনিসের দাম বেশি থাকার কারণে আগের মতো ব্যবসা হচ্ছে না। এ বছর আমি সহস্রাধিক খাইটা তৈরি করে রেখেছি। আশা করা যায় সব খাইটাই বিক্রি করতে পাড়লে লাভের মুখ দেখতে পারব।
আমার এখান থেকে ঢাকা, গাজীপুরসহ দেশের প্রায় জায়গায় আমার এ খাইটার চাহিদা রয়েছে। কারণ তেঁতুল কাঠের খাইটায় হাড় কাটলে ময়লা হয় না। এ জন্য আমার এলাকা মধুপুরসহ দেশের সব জায়গায় চাহিদা রয়েছে।
ভোরের আকাশ/নি