রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় দুই বছরের শিশু হত্যা মামলার একমাত্র আসামি জান্নাতুল ওয়াইশ ওরফে নাহিদকে আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। কারাদন্ডের পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকাও অর্থদন্ড দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। এদিন রায় ঘোষণার আগে কারাগারে থাকা আসামি নাহিদকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, দীননাথ সেন রোডের ৫৩/১/ছ নম্বর চারতলা বাড়ির পাশে টিনশেড বস্তিতে মা-বাবা ও তিন বোনের সঙ্গে থাকত আড়াই বছরের শিশু আয়েশা। ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারি বাসায় গ্যাস সংযোগ না থাকায় বিকেলে আয়েশার মা পাশের বাসায় রান্না করতে যান। তখন আয়েশা রুমেই ছিল। একপর্যায়ে আয়েশার মা রুমে আসেন। তখন মেয়েকে দেখতে না পেয়ে অস্থির হয়ে পড়েন।
সন্ধ্যার পর ছুটে যান বাসার পাশের গলিতে। সেখানে গিয়ে দেখেন ময়লার ট্রলির পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে তার মেয়ে। দ্রুত আয়েশাকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিযে যান। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর ৭ জানুয়ারি শিশুটির বাবা মো. ইদ্রিস বাদী হয়ে গেন্ডারিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্ত নাহিদ হোসেন শিশুটিকে ধর্ষণের পর চারতলা বাড়ির তিনতলা থেকে নিচে ফেলে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। মামলা দায়েরের পর নাহিদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর থেকেই নাহিদ কারাগারে আটক আছেন। ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর পিবিআইর উপ-পুলিশ পরিদর্শক সাদেকুর রহমান নাহিদকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জন সাক্ষ্য দেন।
ভোরের আকাশ/নি