logo
আপডেট : ২৪ জুন, ২০২৩ ১৪:৪২
ধ্বসে গেলো এলজিইডির নির্মাণাধীন ব্রিজ
ফরিদপুর প্রতিনিধি

ধ্বসে গেলো এলজিইডির নির্মাণাধীন ব্রিজ

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বৈঠাখালি খালের ওপর নির্মাণাধীন ব্রিজ ধ্বসের ছবি

ফরিদপুরের এলজিইডির আওতাধীন কাজের ব্রিজ ধসের ঘটনা যেন থামছেই না। আর এসব ঘটনায় ফরিদপুর এলজিইডি অফিসের গাফলিতির কথা অভিযোগ করেছেন অনেকেই।

 

ফরিদপুরের আসিফ ইমতিয়াজ কনস্ট্রাকশনের তৈরিকৃত গত এক মাসের ব্যবধানে দুটি ব্রীজে ধ্বসের ঘটনা ঘটেছে।

 

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এলজিইডির আওতায় নির্মাণাধীন ২৪ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি ব্রিজের সাটারিং ধ্বসে গেছে ।

 

ভাঙ্গা উপজেলার কাউলীবেড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার কাজী জাফরউল্লাহর বাড়ির পাশে বৈঠাখালি খালের ওপর নির্মাণাধীন ব্রিজে এ ঘটনা ঘটে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ব্রিজের ঢালাই দেওয়ার কথা ছিল। তার আগে চলছিলো সেন্টারিংয়ের কাজ।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,খালের পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিচে থেকে সাটারিং সরে গেলে এ ঘটনা ঘটে। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান নির্মাণ শ্রমিকরা।

 

জানা যায়, গত ৬ মাস থেকে বৈঠাখালি খালের ওপর ওই ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইমতিয়াজ আসিফ কনস্ট্রাকশন। এর আগে গত ৩১ মে সদরপুরে এলজিইডির আওতাধীন একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নির্মাণাধীন আরেকটি ব্রিজের পাশের মাটি ধ্বসে ৩ জন শ্রমিক নিহত হন।

 

এরও আগে গত ২৪ মার্চ ফরিদপুরের নগরকান্দায় লস্করদিয়া ইউনিয়নের মাঝিকান্দা নামক এলাকায় খালের উপর নির্মিতব্য একটি ব্রিজের ঢালাই কাজ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেটি ধ্বসে পড়ে।

 

স্থানীয়রা এসব ঘটনায় প্রকৌশলীদের অবহেলা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করেছেন। কাওলীবেড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল হোসেন দুদু মিয়া বলেন, নিম্নমানের কাজ ও ইঞ্জিনিয়ারদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে নির্মাণাধীন সেতুটি ধসে পড়েছে।

 

স্থানীয়দের অভিযোগ, দায়িত্বে অবহেলা ও তড়িঘড়ি করে পাটাতনের নিচে বাঁশের খুঁটি ভালোভাবে না দেওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে।

 

করিম মিয়া নামে একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এদের দায়িত্বে অবহেলা ও বর্ষা মৌসুমে তড়িঘড়ি করে কাজ করতে গিয়ে এমনটা হয়েছে। অন্যান্য ব্রিজের তুলনায় এই ব্রিজের উচ্চতা অনেক কম দেওয়া হয়েছে। বর্ষাকালে খালে পানি বাড়লে এই ব্রিজ পানির নিচে তলিয়ে যাবে।

 

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইমতিয়াজ আসিফ কনস্ট্রাকশনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

 

ভাঙ্গা উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.আলীমুজ্জামান খানের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।

 

ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিমউদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেখানে এখনো ব্রিজের ঢালাই কাজ শুরু হয়নি। শুধু ব্রিজের স্ট্রাকচার তৈরি হয়েছে। তবে, বৃষ্টির পানিতে বাঁশের খুঁটি সরে যাওয়াতে ব্রিজের স্ট্রাকচার দেবে গেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/আসা