বাগেরহাটে গত বুধবার থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। সেই বৃষ্টিতে গত চার দিন সূর্যের পুরোপুরি দেখা মেলেনি এ জেলায়। ভারী বর্ষণে নাকাল হয়ে পড়েছে জনজীবন। হুমকির মুখে পড়েছে জেলার চিংড়ি চাষিরা। জেলা মৎস্য বিভাগ বলছেন অতি বৃষ্টি চিংড়ি মাছ চাষিদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
জেলা মৎস্য অফিসের তথ্য মতে, বাগেরহাটের শরণখোলা, রামপাল, মোংলা উপজেলায় চিংড়ি চাষিদের সংখ্যা বেশি। জেলায় মোট চিংড়ি চাষির সংখ্যা ৫৫ থেকে ৫৭ হাজার।
রামপাল উপজেলার ভরসাপুর গ্রামের চিংড়ি চাষি আফজাল হোসেন বলেন, আমার আড়াই বিঘা পরিমাণ ঘেরে বাগদা চিংড়ি চাষ করেছি। এ মাছ চাষে মূলত লবণ পানির প্রয়োজন। অতি মাত্রায় বৃষ্টি হলে পানির লবনাক্ততা কমে গিয়ে মাছ মারা যেতে পারে। তাছাড়া অক্সিজেন ফেল বা টেম্পারেচার ফেল করে মাছ মারা যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
শরণখোলার চিংড়ি চাষির শেখ ডালিম বলেন, আমার ঘেরসহ অনেক ঘের অতিবৃষ্টির কারণে পানিতে তলিয়ে গেছে। এত বৃষ্টিতে অক্সিজেন ফেল করে সাদা মাছসহ বাগদাও মারা যাচ্ছে। এদিকে কয় দিন আগে খরার কারণেও মারা গেছে। আমরা যারা চিংড়িমাছ চাষ করি তাদের লসের ওপর লস।
মোংলা উপজেলায় চিংড়ি চাষি আজিজ বলেন, পর পর কয়েক বছর লাভের কোনো আশা দেখতে পারছি না। এই খরা এই বৃষ্টির সঙ্গে বিভিন্ন ভাইরাসের কারণে সব মাছ মারা যাচ্ছে। এই বৃষ্টিতে অনেক ঘেরও ডুবে গেছে।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এএসএম রাসেল বলেন, বাগেরহাটে প্রায় ৫৫ থেকে ৫৭ হাজার বাগদা, গলদা চিংড়ি চাষি রয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টি চিংড়ি চাষিদের জন্য হুমকিস্বরূপ। অতিরিক্ত তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির ওপরে গেলে চিংড়ি মারা যায় আবার বৃষ্টিপাতের কারণে যদি পানির তাপমাত্রা ২৩/২৪ ডিগ্রিতে নেমে আসে তাহলে থার্মাল শকে চিংড়ি মারা যাওয়ার শঙ্কা থাকে।
অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে চিংড়ির ঘেরে পানিতে অক্সিজেন এবং সয়েল্ট ফেল করার আশঙ্কাও থাকে। এ বিষয়ে জানতে মোংলা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা হারুন অর রশিদকে মোবাইল ফোনে কল করলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ভোরের আকাশ/নি