logo
আপডেট : ৩ জুলাই, ২০২৩ ১৫:৫৩
তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স জুনে
নিজস্ব প্রতিবেদক

তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স জুনে

সুখবর দিয়েছেন প্রবাসীরা। সদ্য বিদায়ী জুন মাসে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এই অর্থ প্রায় তিন বছরের মধ্যে কোনো একটি মাসে দেশে আসা সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স। এর আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলারের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেখা গেছে, গত বছরের একই মাসে অর্থাৎ জুনে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৩ কোটি ৭২ লাখ ডলার। সে হিসাবে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। সাম্প্রতিক সময়ে ২০২০ সালের জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স দেশে এসেছিল। তবে তখন করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পরিবহন বন্ধ থাকায় হুন্ডি বন্ধ ছিল। ফলে বৈধ পথে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ বেড়েছিল।

 

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষিত দামের চেয়ে বেশি দামে রেমিট্যান্স কেনা বন্ধ করে দিয়েছিল ব্যাংকগুলো। তবে সংকটের কারণে ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর দেনা প্রশোধের চাপের কারণে বিদায়ী মাসে তদারকি অনেকটা শিথিল ছিল।

 

ফলে কিছু ব্যাংক নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে রেমিট্যান্সের ডলার কেনে। এতে রেমিট্যান্স বেড়েছে। তবে এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে কিছু ব্যাংক।

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত প্রবাসীরা প্রায় ২০২ কোটি মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন। এর পরের কয়েক দিনে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলারে। গত মে মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ডলার।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, গত বছরের জুনে প্রায় ১৮৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স দেশে এসেছিল। ২০২১ সালের জুনে এসেছিল ১৯৪ কোটি ডলার। ২০১৯ ও ২০২০ সালের জুনে এসেছিল যথাক্রমে ১৩৬ কোটি ও ১৮৩ কোটি ডলার।

 

প্রবাসী আয় ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত ব্যাংক খাত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখেই মূলত প্রবাসীরা দেশে থাকা তাদের পরিবার-পরিজনের কাছে বাড়তি অর্থ পাঠিয়েছেন। সাধারণত প্রতি ঈদের আগে দেশে অতিরিক্ত রেমিট্যান্স আসে। তবে গত এপ্রিলে উদযাপিত ঈদুল ফিতরের আগে রেমিট্যান্স খুব বেশি বাড়েনি। সেই তুলনায় ঈদুল আজহার সময় দেশে প্রবাসী আয় বেশি এসেছে।

 

এর কারণ হিসেবে ব্যাংক খাত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকেই দেশে কোরবানি দিয়ে থাকেন, তাই তারা বাড়তি অর্থ পাঠিয়েছেন। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে বিভিন্ন সংস্থা কোরবানির জন্যও বাংলাদেশে অর্থ পাঠায়।

 

ভোরের আকাশ/নি