logo
আপডেট : ৯ জুলাই, ২০২৩ ১৯:৫০
ডেঙ্গু শনাক্তের পরদিনই শিশুর মৃত্যু
বাগেরহাট প্রতিনিধি

ডেঙ্গু শনাক্তের পরদিনই শিশুর মৃত্যু

জ্বর হওয়ার দুই দিনের মাথায় এবং ডেঙ্গু শনাক্তের একদিন পরই বাগেরহাটে এক শিশু মৃত্যু হয়েছে।

 

কৌশিক নন্দী নামের সাড়ে চার বছরের শিশুটিকে রোববার (৯ জুলাই) জেলার শরণখোলা থেকে বাগেরহাট জেলা হাসাপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

 

কৌশিক নন্দী শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের ধানসাগর গ্রামের সমীর নন্দীর ছেলে।

 

শুক্রবার (৭ জুলাই) রাতে জ্বরে আক্রান্ত হয় শিশু কৌশিক নন্দী। পরের দিন শনিবার (০৮ জুলাই) বিকেলে ছেলেকে রায়েন্দা নার্সিং হোমে নিয়ে যায় অভিভাবকরা। সেখানে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. তাওহিদুল ইসলাম শিশু কৌশিক নন্দীর রক্ত পরীক্ষা শেষে ডেঙ্গু শনাক্ত করেন। পরে, তার রক্তের প্লাটিলেট দেখার জন্য রায়েন্দা মনোয়ারা ডায়াগষ্টিক সেন্টারে পাঠানো হয়। প্লাটিলেট ৯৮ হাজার কাউন্ট হয়। তা দেখে মেডিকেল অফিসার ডা. তাওহিদুল ইসলাম ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বাড়িতে পাঠান। রাতেই শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।

 

রোববার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য এ্যাম্বুলেন্সে করে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে রওনা দেন। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই শিশুটি মারা যায় বলে জানিয়েছেন শিশুটির বাবা সমীর নন্দী।

 

বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জিয়াউল আদনান রুমেল বলেন, শিশুটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরে জ্বর ছিল। কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, শিশুটির রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ কম ছিল।

 

শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. তাওহিদুল ইসলাম বলেন, শিশুটি যখন আমার কাছে এসেছিল তখন প্রচুর জ্বর ছিল। ডেঙ্গু মৌসুম হওয়ায় রোগীর প্লাটিলেট পরীক্ষা করা হয়। ৯৮ হাজার প্লাটিলেট পাওয়া যায়। রোগীর অবস্থা মোটামুটি ভাল থাকায় তাকে স্টাইন দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু সকালে মৃত্যুর খবর শুনলাম। এটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক।

 

শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. প্রিয় গোপাল বিশ্বাস বলেন, ৯৮ হাজার প্লাটিলেট থাকলে রোগী মারা যাওয়ার কথা নয়। ওই শিশুর হয়ত আর কোন জটিলতা থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 

ভোরের আকাশ/আসা