logo
আপডেট : ১১ জুলাই, ২০২৩ ১৫:৫৭
সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে ধর্মঘট চলছে
সিলেট ব্যুরো

সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে ধর্মঘট চলছে

সিলেট-তামাবিল আঞ্চলিক মহাসড়কে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে গণপরিবহন শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট (কর্মবিরতি)। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা। তবে এই মহাসড়কে বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধ থাকলেও সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও লেগুনা ত্রি-হুইলার গাড়ি চলাচল করছে।

 

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যার মধ্যে বিষয়টি সমাধান না হলে বুধবার (১২ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে সিলেট জেলা জুড়ে বাস-মিনিবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও লেগুনাসহ সবধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।

 

পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত এলাকায় বাসচাপায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার পাঁচজন যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় গত শনিবার রাতে সিলেটের জৈন্তাপুর ১৭ পরগনার সালিস সমন্বয় কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের ছাঁটাইয়ের দাবি ওঠে। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কার্যক্রম শুরু করে সালিশ সমন্বয় কমিটি।

 

ফলে মহাসড়কটিতে চলাচল করা কয়েকটি বাস ও মিনিবাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাস চলতে না দেওয়ায় জৈন্তাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন পরিবহন শ্রমিক ও মালিকেরা। অভিযোগে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমেদকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে।

 

জানা গেছে, অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের ছাঁটাইয়ের লক্ষ্যে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে বাস আটকে রাখার প্রতিবাদে এবং জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমদকে গ্রেফতারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে।

 

এর আগে রোববার রাতে এ ধর্মঘটের ঘোষণা দেন সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. মইনুল হক।

 

এ বিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমেদ বলেন, সালিশ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিলেট তামাবিল মহাসড়কে রোববার থেকে কোনো ধরনের বাস-মিনিবাস চলাচল করতে পারেনি। তবে অন্য যে কোনো যানবাহন স্বাভাবিকভাবেই চলছে।


তিনি আরও বলেন, দরবস্ত বাজারে বাসচাপায় পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় বাস মালিক সমিতি বা এ রুটের পরিবহনের সঙ্গে জড়িত কেউই দুঃখ প্রকাশ করেনি। এমনকি আহত বা নিহতদের পরিবারের কোনো খোঁজখবরও নেননি তারা। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

 

তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার রাতে বৃহত্তর জৈন্তাপুর ১৭ পরগণার সালিশ সমন্বয় কমিটির বৈঠক হয় এবং সে বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিলেট-তামাবিল সড়কে বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী আমরা বাস ও মিনিবাস চলাচল নিষিদ্ধ করেছি।

 

জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, এ ঘটনায় তিনি কোনো অভিযোগ পাননি। ধর্মঘটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাস ও ট্রাকের শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছেন।

 

ভোরের আকাশ/নি