logo
আপডেট : ১৭ জুলাই, ২০২৩ ১৬:০২
নদনদীর পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি বানভাসি মানুষের
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

নদনদীর পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি বানভাসি মানুষের

ছবিটি সোমবার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার চর এলাকা থেকে তোলা

কুড়িগ্রামে নদনদীর পানি কিছুটা হ্রাস পেলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘর তলিয়ে থাকায় দুর্ভোগ কমেনি বানভাসি মানুষের। ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

 

গত ৫ দিন ধরে নদনদীর তীরবর্তী ও চর এলাকার ঘরবাড়ি তলিয়ে থাকায় দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের। সেইসঙ্গে চারণভূমি তলিয়ে থাকায় দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের সংকট। ফসলিজমি নিমজ্জিত থাকায় আমন বীজতলা, পাটসহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি নষ্ট হতে বসেছে।

 

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই সরকার জানান, জেলার ৯ উপজেলার ৩ পৌরসভা ও ৭৩ ইউনিয়নের মধ্যে ৪৫টি ইউনিয়নের ১৮৫ গ্রামের ৬০ হাজার মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। চলতি বন্যা ও নদীভাঙনে ১৫ হাজার ৬৭০টি পরিবারের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হিসেবে বন্যাকবলিত মানুষের সংখ্যা প্রায় লক্ষাধিক ছাড়িয়ে গেছে।

 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, চলতি বন্যায় ৩৮০ হেক্টর জমির আমন বীজতলা, ২৪৪ হেক্টর আউশ ধান, ২৬২ হেক্টর বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, ৫৮১ হেক্টর জমির পাট ও ২০ হেক্টর জমির কলা নিমজ্জিত হয়েছে।

 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, বন্যাকবলিতদের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ২৭৫ টন চাল, নগদ ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই শুকনো খাবার বিতরণ শেষ হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী চাল ও নগদ টাকা বিতরণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/নি