logo
আপডেট : ১৯ জুলাই, ২০২৩ ১১:২১
তালা ঝুলছে ২৫ ঘরেই
পরিত্যক্ত হওয়ার পথে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর
চট্টগ্রাম ব্যুরো

পরিত্যক্ত হওয়ার পথে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর

পরিত্যক্ত হওয়ার পথে লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের পহরচান্দা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের পহরচান্দা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২৫টি ঘরে দীর্ঘদিন ধরে তালা ঝুলছে। যাদের ঘরগুলো বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তারা কেউ ওই ঘরগুলো ব্যবহার করে না। এতে পরিত্যক্ত হওয়ার পথে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো।

 

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকৃত ভূমিহীনদের যাচাই করা ছাড়াই ঘর বরাদ্দ দেয়ায় এমন পরিণতি হয়েছে। সচ্ছল পরিবারসহ দূরবর্তী ইউনিয়নের বাসিন্দাদের বরাদ্দ দেয়ার কারণে ঘরগুলো অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে।

 

সরেজমিনে দেখা গেছে, আশ্রয়ণকেন্দ্রের ঘরগুলোর চারপাশ লতাপাতা, ঝোপ-জঙ্গলে ঘেরা। কিছু দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। বারান্দায় গরু, ছাগল বেঁধে রাখা হয়েছে। অনেক দরজা, জানালায় মরিচা ধরে গেছে। স্থানীয়রা জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের চাবি ও কাগজপত্র নেয়ার পর অধিকাংশ পরিবারই তাদের ঘরে ওঠেনি। যারা উঠেছিল কিছুদিন থাকার পর চলে গেছে।

 

তারা আরো অভিযোগ করে জানান, স্থানীয় ভূমিহীনরা ঘর পায়নি। দূরের ইউনিয়ন চুনতি, কলাউজান থেকে লোকজন এনে ঘর দেয়া হয়েছে। তারা ঘরেও ওঠেনি। চুনতি থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার ও কলাউজান থেকে প্রকল্পের ঘরের দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে। স্থানীয়দের মধ্যে যাদের ঘর দেয়া হয়েছে তারা আর্থিকভাবে সচ্ছল। তারা ঘরগুলো ব্যবহার করে না। শুধু ঘরের মালিকানা পেতে বরাদ্দ নিয়েছে।

 

বরাদ্দ পাওয়া চুনতির বাসিন্দা সজল আচার্য, সাগর বালা, বাবু দাশ, নুরুন্নাহার, জামাল উদ্দীন, আবুল কালাম, আমেনা বেগম, ছিদ্দিক আহামদ, কাজল কান্তি দাশসহ কয়েকজন জানায়, যে এলাকায় তাদের জন্য ঘরগুলো বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সেখানে যাতায়াতের সমস্যা রয়েছে।

 

এ ছাড়া স্থানীয় এলাকা ছেড়ে গেলে তাদের কর্মসংস্থানের অসুবিধায় পড়তে হবে। বিকল্প উপায় না থাকায় তারা সেখানে যেতে চায় না।

 

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক জানান, ঘরগুলোর বরাদ্দ সাবেক চেয়ারম্যানের সময়ে করা হয়েছে। যাচাই করে বরাদ্দের নতুন তালিকা প্রণয়নের বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে।

 

চুনতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন জনু বলেন, আশ্রয়ণকেন্দ্রটি চুনতি থেকে অনেক দূরে হওয়ায় কেউ যেতে চাচ্ছে না। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মৌখিক নির্দেশ অনুযায়ী বরাদ্দপ্রাপ্তদের ডেকেছি। তারা যদি থাকতে না চায় তবে বরাদ্দ বাতিল করে মালিকানা পরিবর্তনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনা নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরীফ উল্যাহ বলেন, বরাদ্দ পাওয়ার পরও যারা এসব ঘরে থাকছে না, তাদের বরাদ্দ বাতিল করে নতুনদের বরাদ্দ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

 

ভোরের আকাশ/নি