logo
আপডেট : ২৬ জুলাই, ২০২৩ ১১:৩৮
সান্তাহার জংশনের দুটি ফুটওভার ব্রিজ ঝুঁকিতে
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

সান্তাহার জংশনের দুটি ফুটওভার ব্রিজ ঝুঁকিতে

সান্তাহার রেল জংশনের ফুটওভার ব্রিজের ভেঙে যাওয়া পাটাতন

বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার রেল জংশনের যাত্রী পারাপারে ব্যবহৃত দুটি ফুটওভার ব্রিজের পাটাতন ভেঙে খুলে পড়ছে। পাটাতনের ভাঙা অংশ স্টেশন রোডে চলাচলকারীদের গায়েও পড়ছে। ব্রড ও মিটারগেইজ লাইনের ওপর দিয়ে প্রায় ২০ ফুট উচু দুটি ফুটওভার ব্রিজের বিভিন্ন অংশের পাটাতন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া স্বত্তেও প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়েই স্টেশন পার হচ্ছে শত শত যাত্রী। এর ফলে যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেলওয়েকে আরামদায়ক ও যাত্রীবান্ধবকরণের লক্ষ্যে সান্তাহার জংশনের প্ল্যাটফর্ম উন্নয়নের জন্য ৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দের অনুক‚লে প্ল্যাটফর্মের শেড নির্মাণ, সীমানা বৃদ্ধি, প্ল্যাটফর্ম উচুকরণ, রঙ করা, বিদ্যুতায়ন ও উভয় দিকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বেষ্টনির কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।

 

১৮৭৮ সালে চালু হওয়া পশ্চিমাঞ্চল রেলের বৃহৎ জংশন সান্তাহার স্টেশনে রয়েছে পাঁচটি প্ল্যাটফর্ম। সম্প্রতি এই প্ল্যাটফর্মগুলো যাত্রী ওঠানামার সুবিধার্থে আগের চেয়ে চার ফুট উচু করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্ল্যাটফর্ম বর্ধিত করে নতুন যাত্রী ছাউনির কাজও শেষ হয়েছে।

 

স্টেশনটির এই উন্নয়ন দৃশ্যমান হলেও যাত্রী সাধারণের চলাচলের মূল সমস্যা ও ভোগান্তি এখনো অব্যাহত রয়েছে। বরাদ্দ না পাওয়ার কারণে স্টেশনের পাঁচটি প্ল্যাটফর্মে হাজারো যাত্রীদের পারাপারে সেই মান্ধাতা আমলের দুটি ফুটওভার ব্রিজ এখনো আগের মতোই রয়ে গেছে। ব্রিজ দুটির পাটাতন জরাজীর্ণ হওয়ায় মাঝে মধ্যেই ভেঙে পড়ছে।

 

স্টেশন রোড দিয়ে চলাচলকারী পথচারীদের গায়ে পাটাতনের ভাঙা অংশ খুলে পড়ছে। সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘ফুটওভার ব্রিজের সব পাটাতনই পুরোনো। পাটাতন ভেঙে গেলে কিংবা নষ্ট হয়ে গেলে পাকশী বিভাগীয় ব্রিজ প্রকৌশলীকে অবগত করা হয়। তারা এসে ভাঙা পাটাতনগুলো বদল করে দেন। তবে অনেক সময় পাটাতন ভেঙে গেলে সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো মেরামত করা সম্ভব হয় না’।

 

সান্তাহার ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (কার্য) আব্দুর রহমান বলেন, সান্তাহার ফুটওভার ব্রিজের সব পাটাতনই মেয়াদোত্তীর্ণ। এ ব্যাপারে সব দায়-দায়িত্ব ব্রিজ বিভাগের। তারাই ব্রিজটি দেখভাল করেন।

 

রেলওয়ের পাকশী বিভাগের ব্রিজ প্রকৌশলী আবদুর রহিম বলেন, ব্রিজ দুটি নির্মাণে দরপত্র চূড়ান্ত করার পর নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির কারণে ওই দরপত্র আহব্বান করা হয়নি। তবে আমাদের কাছে ৬ মাসের স্বল্পমেয়াদি পাটাতন রয়েছে। অতি পুরোনো পাটাতনগুলো সরিয়ে এগুলো বসানো হবে। এছাড়া আপাতত বিকল্প কিছু করা সম্ভব নয়।

 

ভোরের আকাশ/নি