ভূমধ্যসাগরীয় দাবানলে নাভিশ্বাস আলজেরিয়া ও গ্রিসের জনজীবন। প্রচন্ড তাপমাত্রায় সৃষ্ট দাবানলে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে এ পর্যন্ত। মৃতদের অধিকাংশই আলজেরিয়ান। রিসোর্ট, গ্রাম মাইলের পর মাইল গ্রাস করে নিচ্ছে দাবানল। সরানো হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। গ্রিস সরকার জানিয়েছে, কর্ফু এবং ইভিয়া দ্বীপে দাবানলের কারণে রোডস থেকে আরো লোকজনকে সরিয়ে নিতে প্রস্তুত তারা।
কয়েক দিন ধরেই দাবানল ছড়াচ্ছে। এবারের গ্রীষ্মে ইউরোপে তাপমাত্রা অসহনীয়। বিজ্ঞানীরা আগেই সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, ক্রমবর্ধমান জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে অস্বাভাবিকভাবে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটছে। ফলে আগামী দিনগুলোতে ইউরোপকে এমন পরিস্থিতিতে যেতে হতে পারে।
অব্যাহত দাবদাহ কমার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না গ্রিসে। বরং কিছু কিছু জায়গায় তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ানোর শঙ্কা রয়েছে। দাবানল সিসিলি দ্বীপে ছড়িয়ে পড়ায় পালেরমো বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। জোড়াল বাতাসে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে নিচ্ছে। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মারা গেছে আলজেরিয়ায়। আলজিয়ার্সের পূর্ব উপকূলীয় প্রদেশ বেজায়ায় স্থানান্তরের সময় ১০ সেনাসহ ৩৪ জন নিহত হন। বেজায়া সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা, যেখানে ২৩ জন মারা গেছেন।
আলজেরিয়া কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, গত রোববার থেকে ৮০ শতাংশ দাবানল নিভিয়ে ফেলা সম্ভব হয়েছে। পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে অগ্নিনির্বাপক গাড়ি ও বিমান নিয়ে লড়ছে ৮ হাজার কর্মী। সূত্র: বিবিসি।
ভোরের আকাশ/নি