logo
আপডেট : ৬ আগস্ট, ২০২৩ ১০:১৪
কোন্দলে জর্জরিত তৃণমূল আওয়ামী লীগ
নিখিল মানখিন

কোন্দলে জর্জরিত তৃণমূল আওয়ামী লীগ

নিখিল মানখিন: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আজ রোববার তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। জাতীয় নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে আওয়ামী লীগের তৃণমূল কোন্দলের তীব্রতা। জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে গত ১৪ বছরে সৃষ্ট কোন্দল স্থায়ী ও প্রকট রূপ নিয়েছে। নিজেদের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা বেড়েই চলেছে।

 

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাপ মোকাবিলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই দলীয় তৃণমূল কোন্দল। কোন্দল সুরাহা করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।

 

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলটির বিশেষ বর্ধিত সভা হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

সভায় উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, জেলা বা মহানগর ও উপজেলা বা থানা অথবা পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সংসদের দলীয় সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়র এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংশ্লিষ্ট সবাইকে সভায় যথাসময়ে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।

 

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, সভায় সারা দেশ থেকে প্রায় তিন হাজার নেতা ও জনপ্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন। দলের দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্তরা সারা দেশের দুই হাজার ৮৫৬ জন তৃণমূল নেতা ও জনপ্রতিনিধির একটি তালিকা করেছেন। গত মাসে তৃণমূলের নেতাদের কাছে কেন্দ্র থেকে চিঠি দিয়ে নামের তালিকা চাওয়া হয়েছিল। তৃণমূল থেকে পাঠানো তালিকার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ বর্ধিত সভা উপলক্ষে ঢাকা মহানগরের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

 

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নেতা জানান, নির্বাচনে জয়ের জন্য সরকারের সব উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরার নির্দেশনা দেবেন শেখ হাসিনা। বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন ভন্ডুল করতে যেসব কর্মসূচি দিচ্ছে, ষড়যন্ত্র করছে, সেখান থেকে জনগণের দৃষ্টি নির্বাচনমুখী করতে তৃণমূল নেতাদের বিশেষ ভূমিকা রাখতে নির্দেশনা দেয়া হবে। সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সতর্ক থেকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জনগণকে প্রতিবাদী করে তোলার আহব্বান জানাবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

 

দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, বিশেষ বর্ধিত সভায় কীভাবে জনগণের কাছে যেতে হবে, প্রান্তিক মানুষের কাছে ভোট চাইতে হবে, জনগণকে কীভাবে উদ্বুদ্ধ করতে হবে এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষা করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে সে সম্পর্কে তৃণমূল নেতাদের নির্দেশনা দেয়া হবে।

 

তৃণমূল কোন্দলে জর্জরিত আওয়ামী লীগ: সম্প্রতি হালুয়াঘাট উপজেলা তাঁতী লীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহ-১ আসনে (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী নিঃশেষ দ্রংয়ের সমর্থকদের ওপর বর্তমান সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং-এর সমর্থকরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এতে কয়েকজন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

 

বিষয়টি কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান নিঃশেষ দ্রং। কোন্দল ও গ্রুপিংয়ের কারণে কাউন্সিলের ১৬ মাস পরও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি হালুয়াঘাট ও উপজেলা আওয়ামী লীগের। ধোবাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের দিনও ঘটে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা। মনোনয়নপ্রত্যাশী এক নেতার নির্বাচনী প্রচারে নানাভাবে বাধা দেয়ার চেষ্টা করছেন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশীর নেতাকর্মীরা। সব মনোনয়নপ্রত্যাশীর নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে হামলা ও পাল্টা হামলার আতঙ্ক। এভাবে শুধু হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলায় নয়, সারা দেশেই তীব্র হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল।

 

গত ২৮ জুলাই বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের তিন অঙ্গ সংগঠনের শান্তি সমাবেশ শেষে সরকারদলীয় এমপি কামরুল ইসলাম ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন গ্রুপের দ্বন্দ্বে দুপক্ষের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু ঘটে।

 

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় যুব মহিলা লীগের মিছিলে হামলার ঘটনায় কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্যের অনুসারীরা জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলন এমন অভিযোগ করেন যুব মহিলা লীগ পাকুন্দিয়া উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ললিতা আক্তার বীথি।

 

গত ১৭ জুলাই রাজশাহীর বাগমারায় আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ হয়। গোয়ালকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ওই সমাবেশে রাজশাহী-৪ আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হককে প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়া হয়। আর এমপির পক্ষ থেকেই আসে প্রতিহতের হুমকি।

 

গত ৮ জুন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা গেছে। এ সময় নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সমাবেশস্থলে। যে যার মতো ছোটাছুটি শুরু করেন। এতে সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সমাবেশে আওয়ামী লীগ ছাড়াও ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা যোগ দেন। গ্রুপিংয়ের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের জনবহুল এলাকা উদয়ন মোড়ে ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় জেলা যুবলীগের সাবেক শ্রমবিষয়ক সহসম্পাদক ও শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেম নিহত হন। অভিযোগ উঠেছে, তাকে নিজ দলের কর্মীরা প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেসবাউল হক টুটুলসহ কয়েকজন দলীয় কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

এ ঘটনার এক সপ্তাহ পর ২৫ এপ্রিল রাতে লক্ষীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দারবাজারে জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমামকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষ গ্রুপ এই ডাবল মার্ডার করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এভাবে দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা দলীয় কোন্দল দেশের সর্বত্র দৃশ্যমান হয়ে উঠছে।

 

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দলীয় তৃণমূল কোন্দল নিরসনে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ। দলটির বিভাগীয় টিম, জেলা ও উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে মাঠের রিপোর্ট গ্রহণ ও নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। জেলা ও উপজেলা কমিটি ঘোষণার আগে কোন্দল নিরসনের বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হচ্ছে। তবে পদে পদে সম্মুখীন হতে হচ্ছে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির। উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে গত সাড়ে ১৪ বছরে সৃষ্ট কোন্দল স্থায়ী ও প্রকট রূপ নিয়েছে। হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে মাঠের রিপোর্ট গ্রহণ ও নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।

 

সর্বশেষ বৈঠকে উপস্থিত সাংগঠনিক সম্পাদকদের কয়েকজন ভোরের আকাশকে জানান, দলের তৃণমূল পর্যায়ের পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করে যাচ্ছেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সর্বশেষ বৈঠকে আগামী নির্বাচন ও দলের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

 

নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে, সে কথা উপস্থিত সম্পাদকদের স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। দলের ভেতরে কোনো সমস্যা থাকলে তা সমাধানের জন্য করণীয় এবং সংগঠনকে আরো শক্তিশালী কীভাবে করা যায়, তৃণমূলকে ঐক্যবদ্ধ কীভাবে করা যায়, তা নিয়ে ভাবতে বলেছেন।

 

তৃণমূল সমস্যা: আওয়ামী লীগের তৃণমূল সমস্যা নিরসন করতে গিয়ে দলীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা পদে পদে সম্মুখীন হচ্ছেন নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির। উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে গত সাড়ে ১৪ বছরে সৃষ্ট কোন্দল স্থায়ী ও প্রকট রূপ নিয়েছে। হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগের চেইন অব কমান্ড দুর্বল হয়ে পড়েছে। সরকার ও দল একাকার হওয়ায় বেড়েছে জটিলতা। কোন্দলের শিকড় অনেক গভীরে বিস্তার লাভ করেছে। আর এসব দ্বন্দ্বে অনেক কেন্দ্রীয় নেতা, স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা-উপজেলার শীর্ষ নেতা ও মনোনয়নপ্রত্যাশীরা মদদ জোগাচ্ছেন বলে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন।

 

আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতারা অভিযোগ করেন, করোনাকালে রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থবির ছিল। পরবর্তীতে গত বছর আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ সাংগঠনিক জেলার সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হলেও গঠিত হয়নি পূর্ণাঙ্গ কমিটি। সিংহভাগ উপজেলা, পৌরসভা ও অন্য ইউনিট কমিটিও মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে পড়েছিল দীর্ঘদিন ধরে। আর দীর্ঘদিন ধরে সম্মেলন না হওয়ায় প্রায় সব জায়গাতেই একচ্ছত্র ক্ষমতার বলয় তৈরি হয়েছে। বেড়েছে দ্বন্দ্ব-কোন্দল এবং মন্থর হয়ে পড়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রম। যার প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে। ত্যাগী, দক্ষ ও স্বচ্ছ-পরিচ্ছন্ন ইমেজের নেতারা দলে জায়গা না পেয়ে হতাশ হয়ে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছেন। কেউ কেউ স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে পৃথক পৃথক দলীয় গ্রুপিংয়ে জড়িয়ে পড়েছেন।

 

অভিযোগ রয়েছে, অধিকাংশ এলাকায় আওয়ামী লীগের উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটি গঠনে একচ্ছত্র ক্ষমতা ব্যবহার করে থাকেন স্থানীয় সংসদ সদস্যরা। তাদের আশীর্বাদপুষ্ট লোকজন ছাড়া কমিটিতে স্থান পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে যোগ্যতার বিষয়টি বিচার-বিবেচনায় আনা হয় না। আওয়ামী লীগের বিভাগীয় টিম এবং জেলা নেতারাও অনেক সময় অসহায় হয়ে পড়েন। আর পদবঞ্চিত যোগ্য নেতারা তৈরি করেন পৃথক দলীয় বলয়। এটি শুধু আওয়ামী লীগ নয়, তার সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সব সংগঠনের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

 

তৃণমূল নেতাকর্মীরা আরো অভিযোগ করেন, স্থানীয় নির্বাচনকেন্দ্রিক বিশেষ করে উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন্দল এখনো রয়ে গেছে। ওইসব নির্বাচনে আওয়ামী লীগের রেকর্ডসংখ্যক বিদ্রোহী প্রার্থীর উপস্থিতি এবং বিজয় আলোচনার ঝড় তোলে। অনেক এলাকায় বিজয়ী বিদ্রোহী প্রার্থী ও বিজিত বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পরাজিত দলীয় প্রার্থীদের দূরত্ব রয়ে গেছে।

 

সংসদ সদস্য মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা সব সময় আশা করেন উপজেলা, থানাসহ অধীন শাখা কমিটিগুলোতে নিজের অনুসারী নেতারা যাতে পদ পান। তৃণমূলের নেতারা পক্ষে থাকলে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া সহজ হবে। এ হিসাব থেকেই মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা দলের পদে নিজের অনুসারীদের বসাতে জোরালো চেষ্টা করতে গিয়ে যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের সরিয়ে দেয়ার ঘটনাও ঘটছে।

 

এ প্রসঙ্গে রংপুর বিভাগের দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ভোরের আকাশকে বলেন, সব দলেই তৃণমূল কোন্দল রয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ একটি বড় দল। এখানেও কোন্দল থাকবে। তবে বিদ্যমান কোন্দল কীভাবে প্রশমিত করা যায়, সেজন্য দলীয় উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/নি